রাজশাহী মহানগরীতে চিকিৎসককে মিথ্যে কথা বলে বাসায় ডেকে জোর করে বিয়ে ও বø্যাকমেইল করে ২০ লাখ টাকা দাবি করার মামলায় আটক ভুয়া কাজি ও নারীর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি কোন কাজি নয়। সে প্রতারক। আটককৃতরা হলেন, পাপিয়া সুলতানা পপি (৩৫) ও অপর ব্যক্তি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মুনির বলেন, ভুয়া কাজি ও নারীকে আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তারা আরো কোন প্রতারণামূলক ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে। রিমান্ড শুনানি শেষে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ৮ নং সড়কের ৪৩২ নং চারতলা বাসার নীচ তলায় কলেজ শিক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা পাপিয়া সুলতানা পপি (৩৫)। পপির স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন বলে বাড়ির মালিককে জানিয়ে তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন গত দেড় বছর আগে। এ ভবনের তিন তলায় থাকতেন রাজশাহীর প্রাইভেট বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষানবীশ চিকিৎসক মাহবুব আলম। মাহবুবের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডিমলায়। একই ভবনে থাকার সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বাসাটি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের।
সম্প্রতি ডা. মাহবুব এমবিবিএস শেষ করে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাই ওই বাসা ছেড়ে মাহবুব আবাসিকের আরেক বাসায় বন্ধুর সাথে থাকতে শুরু করেন। অসুস্থতার কথা বলে ১৭ ফেব্রæয়ারি রাতে পাপিয়া সুলতানা পপি ফোন করে মাহবুবকে বাসায় আসতে বলেন। মাহবুব কিছু ওষুধপত্র নিয়ে পপির বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর ৪ জন লোক বাসায় ঢুকে মাহবুবকে বেঁধে ফেলে মারধর করেন ও তার কাছ থেকে একটি কাবিননামা ও কয়েকটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার মাহবুবকে ফোন করে পপি ও তার সহযোগীরা জানান, পপির সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে। কাবিননামা তাদের কাছে আছে। ছাড়াছাড়ি বা ডিভোর্স করতে চাইলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। মাহবুব এদিন বিকালে চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই পদ্মা আবাসিকের ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে পপিসহ বিয়ের কথিত কাজীকে গ্রেফতার করেন। অভিযানকালে বিয়ের কাবিননামাসহ ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এস/আর