নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর মিজানের মোড় নদীর ধার চর সাতবাড়িয়া গ্রামের সালমা বেওয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। সালমা বেওয়া বলেন, ছেলে রবিউল, বউমা আম্বিয়া খাতুন টুম্পা ও নাতী নাতনীদের নিয়ে তিনি এই বাড়িতে বসবাস করেন। কিন্তু ভোটের পরে আলো নামে একজন মারা যাওয়া এবং বিভিন্ন সময়ে তার ছেলে রবিউল নামে মিথ্যা মামলা হওয়ায় রবিউল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ছেলের বউ সন্তান প্রসবের জন্য মীরগঞ্জের বাবার বাড়িতে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে তারা সকলেই বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। বর্তমানে এই বাড়িতে কেউ থাকেনা। প্রধান ফটকে তারা তালা মেরে অন্যত্র থাকেন বলে জানান তিনি। এই সুযোগে চররা সিড়ির ছোট গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে
প্রবেশ করে এবং বাড়ির মধ্যে মুল দড়জার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।
সালমা আরো বলেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে বাড়িতে আসার জন্য সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি পরিস্কার করতে গেলে ভিতরের গেটের তালা ভাঙ্গা এবং গেট খোলা পান। ভিতরে প্রবেশ করেই দেখেন প্রতিটি রুমের বিছানাপত্র ও বাক্স খোলা এবং ডায়নিংএ যত্রতত্র কাপড় থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিষপত্র পড়ে আছে। এসব দেখে চিৎকার শুরু করলে পাশের লোকজন ছুটে আসে। তিনি বলেন, বাড়িতে থাকা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা, ৫-৬ ভরি স্বর্ণাংকার, পাকিস্তানী ৩টি বড় ফ্যান, টিভি, সাইকেল, অন্যান্য দামী কাপড়, কাঁসার থালাবাসন, গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাসের চুলাসহ এলইডি লাইট পর্যন্ত তারা চরি করে নিয়ে চলে গেছে। কখন এবং কেবা-কারা এই চুরি করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।
তবে প্রতিবেশী একাধিক নারী জানান প্রায়ই এই বাড়িতে হাঁটা চলাফেরার শব্দ পাওয়া যায়। তারা মনে করেন ভুত কিংবা জ্বীন। ছাড়াও ডিবি পুলিশ বা থানার পুলিশ মনে করে তারা ভয়ে কিছু বলেননি বলে জানান। বিকেলে মতিহার থানার এস.আই নাফিজুর রহমান তাঁর ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগ পেলে এর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। খবর লেখে পর্যন্ত মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরী করার প্রস্তুতি চলছিল।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস