নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর পেঁয়াজকাণ্ডের পর আবারো রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের জেলা-উপজেলায় বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। রাজশাহীর বাজারগুলোতে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। শুধু দেশি পেঁয়াজ নয় ভারতীয় পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এনিয়ে বাজার করতে আসা কেতাদের মধে বাপক ক্ষোভের সষ্টি হয়েছে। কারণ গত বছর ২০ থেকে ৩০
টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পযন্ত উঠে। পরে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। ক্রেতারা বলছেন এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে গতবারের মত সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে পেঁয়াজ। তাই কম সময়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নজর দেয়া দরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহের দিকেও রাজশাহী মহানগরীর কাঁচা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল। কিন্ত হঠাৎ করে ৫ টাকা
১০টাকা করে দাম বাড়তে শুরু করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে উঠে যায় এক লাফে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। সেই দামেই এখন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। নগরীর বাজারগুলোতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিকি হয়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিকি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত বছরের মতো অনেক মানুষই কম করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করেছে। বাজার করতে আসা নাইমুল নামের এক কেতা বলেন, বাজারে সব ধরণের সবজির দাম অনেক বেশি। মরিচ
অনেক দিন ধরে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি চলছে। কোন সবজি ৫০ টাকার নিচে নাই। এখন আবার পেঁয়াজের দামও বেশি। যেভাবে সবজির দাম বাড়ছে সেভাবে আমাদের আয় বাড়ছেনা। তাই পশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্তণ করা জরুরী।
তুহিন নামের আরেকজন বলেন, গত বছরের মতো অবস্থা হওয়ার আগেই বিষয়টি দেখা দরকার। নাহলে নাকালের শেষ থাকবেনা। পেঁয়াজ বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে
দাম বেড়ে যাওয়া খুচরা বাজারে এর পভাব পড়েছে। কম দামে পেলে কম দামে বিক্রি করা হবে। শুধু রাজশাহী মহানগর নয় জেলার উপজেলা ও পৌর বাজারগুলোতেও পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সবাই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক অপূব অধিকারী বলেন, বাজার মনিটরিং করা হবে। বেশি দাম কাউকে নিতে দেয়া হবে না।
এমকে