নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ পরিচয়ে ১৭ টি সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মালিক ধীরেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সোনার বারের মূল্য প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ঘটনার পর বোয়ালিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ভিডিও পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। ভিডিওতে দুটি মোটরসাইকেলে করে ৪ জনকে দেখা গেছে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়াও পাশে
আরো দু’জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারাও ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। অধিক গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ভদ্রা মোড় এলাকায় সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। স্বর্ণের বারগুলি রাজশাহীর সাহেব বাজার স্বর্ণ পট্টির লায়লা জুয়েলার্সের মালিক মানিকের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, জিতেন ধর ও তার ভাই ধীরেন ধর এসব সোনার বার চট্টগ্রাম থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি কোচে ফেনীতে উঠে রাজশাহীর পুঠিয়ায় আসেন সোমবার সকালে। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাস থেকে নেমে দুই ভাই সোনার বারগুলি নিয়ে জুয়েলার্স মালিক মানিক মিয়ার
বালিয়াপুকুরের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শুভ পেট্রল পাম্পের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক পুলিশ পরিচয়ে ধীরেন ধরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছে থাকা ১৭টি বার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক একটি বারের ওজন ১০ ভরি করে সর্বমোট ১৭০ ভরি সোনা ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনা জানাজানি হলে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ঘটনার কিছু সময় পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিতেন ধরকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত , ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ
পরিচয়ে ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনাগুলো অধিকাংশই প্রকাশ্য দিবালোকে। ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রহমান জুট মিলের সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। তার আগে একই মাসের ২ অক্টোবর নগরীর রাণীবাজার এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফেরদৌসি বেগম নামের এক নারীর ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়।
এস/আর