ঢাকাসোমবার , ২৮ জানুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটালেন কাউন্সিলর, আটক ৫

omor faruk
জানুয়ারি ২৮, ২০১৯ ৭:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নিত্যপন দাসকে পিটিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আ’লীগ নেতা রবিউল ইসলাম তজুসহ তার লোকজন। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর হাতেমখাঁন শাহজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কমকর্তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজুসহ ৫ জনকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে রাজশাহী মহানগরীর শাহাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাকিব ও রতন পরিবারের সাথে তাদের পাশের বাড়ির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রেশারেশি চলে আসছিলো। দুই পরিবারের মধ্যে হওয়া ঝামেলা মীমাংসা করার জন্য বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজুকে জানানো হয়। গত শনিবার রাতে মিমাংসার জন্য কাউন্সিলর তজু সাকিব ও রতনকে ডেকে

আনতে লোক পাঠালে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ঘটনার সূত্র ধরে কাউন্সিলরের লোকের সাথে সাকিব-রতনের মারামারি হয়। এ সময় সাকিবের মাথা ফেটে গেলে সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল সোমবার সাকিব হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে কাউন্সিলরের ওই দুজন লোককে মারার চেষ্টা করে। এ সময় কাউন্সিলরসহ তার লোকেদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি তদন্ত নিত্যপন দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ দুই পক্ষকে থামাতে চেষ্টা করলে কাউন্সিলর ও তার লোকজন বোয়ালিয়া থানার ওসি তদন্ত নিত্যপন দাসকে পেটায়। পরে তাকে আহবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে কাউন্সিলর তজুসহ ৫

জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। আর তাকে কাউন্সিলরসহ তার লোকজন মারধর করেছে। এ জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর তজুসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনো তাদের আটক দেখানো হয়নি। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, পুলিশ মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে মারধর করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর তজুসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলা হলে তাদের আটক দেখানো হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।