নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে দৈনিক উপচারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলনের উপর হামলা ও তার ভাতিজাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিন জন আসামীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নুরে ইসলাম মিলন। মামলার আসামীরা হলেন, নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন সপুরা কাঠমিল এলাকার মৃত মোজাফফর আহমেদের ছেলে সবুজ আহমেদ, একই থানার সপুর মঠপুকুর এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে আরিফুর রহমান ওরফে আরিফ এবং নগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনি কানার মোড় এলাকার বাসিন্দা হাবিবসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেমবর বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার
দিকে নুরে ইসলাম মিলন তার ভাতিজা আশিক ইকবার অন্তুরকে সাথে নিয়ে নগরীর রানিবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সবুজ, আরিফ ও হাবিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন মোটরসাইকেল যোগে নিউমার্কেট এলাকার দিক থেকে রানিবাজারে আসে। এরপর দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ১ নং আসামী সবুজ মিলনকে লক্ষ্য করে গুলি করে কিন্ত সেই গুলিটি তাকে না লেগে সাথে থাকা ভাতিজা অন্তরকে লাগে এবং সে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ছাড়া আসামীদের আরো দুই রাউন্ড গুলে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়। এ সময় টহল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাদের আঁটকানোর চেষ্টা করলে ১ নং আসামী পুনরায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্ত সেই গুলিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনগন তাদের পিস্তল ও গুলি এবং মোটরসাইকেলসহ
আটক করে। অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলেই একজন সাক্ষী জখম। পরে গুলিবিদ্ধ অন্তরকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাবিবের সম্পৃক্ততা কতটুকু তা যাচাই করে দেখা হবে। আটককৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে, আহত অন্তরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে