1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশনকে স্বারকলিপি দিয়েছে বিএনপি - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশনকে স্বারকলিপি দিয়েছে বিএনপি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যানকৃত ইভিএম ব্যবহারের প্রতিবাদ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গায়েবী মামলায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ এবং বিগত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চরম বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী ভোট ডাকাতি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কারিগর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার পূর্বে রাজশাহী থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির স্মারকলিপি প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহামন মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পেিরবশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহামন পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ আলম, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকিলিপিতে উলেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-দেশের সর্ববৃহৎ জনপ্রিয় এবং একাধিকবার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে রাজশাহী মহানগর বিএনপি সরকারি নিপীড়ন ও পুলিশী অপতৎপরতায় সকল প্রকার সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার অধিকার থেকে বঞ্চিত। ইতিমধ্যে গত ২৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজশাহীতে ইভিএম প্রদর্শনী আয়োজনে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি। পূর্বে ব্যবহৃত বিশ্বের বহু উন্নত দেশে ইতিমধ্যে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৩০ শে জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজশাহীর ভোলানাথ একাডেমী ভোট সেন্টারে ১১টি বুথেই ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়ার সময় ৩ টা বুথের ইভিএম মেশিন বেলা ১২ টার মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় এবং পরে পুনরায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি। ইভিএম মেশিন বিদ্যুৎ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বিদ্যুৎ না থাকলে প্রজেক্টর চালু থাকে না বিধায় রিডিংগুলি দেখতে না পাওয়ায় পোলিং এজেন্টদের জন্য দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য। তারা উল্লেখ করেন একজনের ভোট আরেকজন দিয়েছে, কোথাও ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছিল। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ভোট কেন্দ্রে ভোটদানকালে ইভিএম মেশিন অকার্যকর হয়ে যায়, যা নির্বাচনের দিন আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে পরবর্তীতে আরেকদিন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে হয়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সন্ধ্যা ৬.০০ টার বেশী বেজে যায়। অর্থাৎ ইভিএম কর্তৃক ভোট গ্রহণে নির্বাচন কমিশন উল্লিখিত স্বচ্ছতায়, ত্রুটিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ভোট গ্রহণ এবং ভোটগণনা দ্রুত সম্পন্ন করার ঘোষণা এসব কারণেই আস্থার সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে।

একইসাথে উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে ইভিএম ব্যবহারে কি কি কারিগরি জটিলতা এবং ত্রুটি ভোট গ্রহণে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করতে পারে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। এত অনাস্থা এবং আপত্তি স্বত্ত্বেও ইভিএম কে এত গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নানা, উদ্যোগ ও ইভিএম প্রদর্শনী মেলার আয়োজনে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তফশীল ঘোষণার পূর্বেই সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুবিধা বা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর থেকে, রাজশাহী মহানগর ও জেলার ছয়টি আসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টিরও বেশি গায়েবী মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১২০ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় দুই হাজার পাঁচশ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত রাসিক নির্বাচনে, ভোটের আগের দিন রাত্রে ভোট প্রদান এবং ভোটের দিনে ব্যালট পেপার না থাকা সহ দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারদের সরাসরি হস্তক্ষেপে একটি প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রদানে সহায়তার নানাবিধ অনিয়ম উঠে এসেছে। এমতাবস্থায় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ সহ দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা ব্যহত হচ্ছে। অথচ নির্বাচন কমিশন এ বিষয় গুলোতে সম্পূর্ণ নির্বিকার। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারের ইচ্ছা পূরণে পুরোপুরি নিয়োজিত। একইসাথে গায়েবী মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী থাকার সুযোগে যে কাউকে হয়রানি ও গ্রেফতার বাণিজ্য চালিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বাড়ীছাড়া ও এলাকাছাড়া করা হচ্ছে। নগরীর কোথাও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের একত্রিত হওয়া তো দূরের কথা তাদের স্বাভাবিক ব্যক্তিগত নাগরিক জীবন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য নির্বাচনী পরিবেশ এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোদস্তর ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

আমরা মনে করি, এটি সরকারের বিরোধী দলকে সম্পূর্ণ কোনঠাসা বা লাপাত্তা করে একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্রকে বাস্তাবায়নের নীলনকশায় নির্বাচন কমিশন এর দূরুহ অবস্থা অবসানে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ, অর্থবহ নির্বাচনের জনআকাঙ্খা বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে না।একথা সর্বজনবিদিত বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজশাহীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল প্রশাসনের ব্যাপক অংশ সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্লজ্জভাবে ভোট ডাকাতি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিপুল অংশ দলীয় কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল। প্রশাসনের এসকল বিতর্কিত দলীয় অনুগত কর্মকর্তারা বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিহ্নিত কর্মকর্তারা রাজশাহী প্রশাসনে দায়িত্ব বহাল থাকলে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের এবং দলীয় সাংগঠনিক কর্মকা- পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পূর্বেই নির্বাচনকে বাধাহীন করতে এসকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রাজশাহী থেকে প্রত্যাহার অতি আবশ্যক বলে আমরা মনে করি। তদস্থলে নিরপেক্ষ পেশাদার কর্মকর্তাদের পদায়ন করার প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরী।দৃঢ়তার সাথে আমরা রাজশাহী মহানগর বিএনপি মনে করি, দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের আস্থা সৃষ্টি ব্যতীত বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের সকল উদ্যোগ বাতিল করে, অতি দ্রুত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গায়েবী মামলা প্রদান বন্ধ, নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ, সম্ভাব্য নির্বাচন প্রস্তুতিতে বাধাহীনভাবে রাজনৈতিক সাংগঠনিক কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনের উপযুক্ত জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিতর্কিত দলবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদস্থলে নিরপেক্ষ পেশাদার কর্মকর্তাদের পদায়ন করার প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এসময়ে মিনু ইভিএম বন্ধসহ নির্বাচনের পুর্বে সকল প্রকার অনিয়ম দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশনারের নিকট দাবী জানালে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী অতি ক্ষুদ্র আকারে রাজশাহীসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম ব্যবহার ও ক্রটিযুক্ত থাকলে তাঁকে জানালে তিনি সাথে সাথে ব্যস্থা নেবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, আইনের মধ্যে থেকেই এটা ব্যবহার করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন জনগণ ও সকল দলের আস্থা তৈলি করার জন্য কাজ করছেন। সকল অংশগ্রহনের অংশগ্রহনে দেশে অবাধ ও ষুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাংবাদিকদের প্রশন্রে জবাবে নির্বাচর কশিশনার আরো বলেন, ইভিএমে কোন প্রকতার থ্রটি ধরা পড়লে তা ব্যবহার বন্ধ রাখা হবে। জাতীয় যুক্ত ফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের আলোচনা এবং পদক্ষেফ নেওয়ার অনেক পড়ে জন্মেছে। সেক্ষেত্রে আসলে তাদের বিষয়টা ভিন্নতর। তরে প্রতি নির্বাচনী আসনের লটালীর মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে কোতায় ব্যবহার হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST