রাজশাহী মহানগরীতে নারীর টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের প্রায় ৩ মাস পর চারজন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে ছিনতাই হওয়া টাকা ও মোবাইল উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রæয়ারী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। আটক ছিনতাইকারীরা হলেন, অনিক (২২), এসএম হাসান মোক্তাদ্দির কিউট (১৭), শিহাব (১৯) ও বিশাল (২১)। আটককৃতদের বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আসামীদের শনাক্ত ও তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রæয়ারি সীমা আক্তার(ছদ্মনাম) নগরীর সাহেব বাজার থেকে অটোরিক্সাযোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের সামনে পৌঁছালে একটি কালো রংয়ের জিক্সার মোটরসাইকেল যোগে ৩ জন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের আরও ১ জন সহযোগী পূর্বে থেকেই সেখানেই অবস্থান করছিলো। এরপর তারা জোরপূর্বক সীমা আক্তারের ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার পরপর নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ১৩ তারিখের ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেন। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদেরকে শনাক্ত করে। পরে থানা পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ ফেব্রæয়ারি রাত ৩টার দিকে অনিক (২২) কে চন্দ্রিমা থানাধীন ভদ্রা জামালপুরে অবস্থিত তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনিক ছিনতাই ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। অনিকের দেওয়া তথ্য মতে কিউটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করলেও আসামী কিউট পালিয়ে যায়। এরপর আসামী
শিহাবকে ২৮ ফেব্রæয়ারি সিএন্ডবি মোড় এলাকা থেকে এবং আসামী এসএম হাসান মোক্তাদ্দির কিউটকে ২০ এপ্রিল রাজপাড়া থানার কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ মে দিবাগত রাতে অপর ছিনতাইকারী বিশাল (২১) কে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর ঝাউতলা মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ছিনতাইকৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এস/আর