রাজশাহী মহানগরীর অদূরে চৌদ্দপাই এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ও অটোরিক্সা ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ২ জন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ সোমবার রাজশাহী মহানগরীর অদূরে চৌদ্দপাই এলাকায় ধান গবেষণা ইনিস্টিউটের সামনে হানিফ ও আফিয়া পরিবহণ নামের দুটি বাসের মধ্যে এ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর থেকে ওই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত হলেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার
থানাপাড়া গ্রামের বাবরের ছেলে নবাব (৫০) ও রবিউল আওয়াল। রবিউল একজন পরিবহন শ্রমিক। তবে তার ঠিকানা তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নবাবের মৃত্যু হয়। লাশ মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথে বাসটি রাজশাহী মহানগরীর চৌদ্দপাই এলাকায় অবস্থিত ধান গবেষণা ইনিস্টিউটের সামনে পৌঁছালে
আফিয়া পরিবহণ নামের একটি লোকাল বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি অটোরিক্সা ধাক্কা খেয়ে রাস্তার মধ্যে উল্টে যায়। তবে অটোরিক্সার কোনো যাত্রী নিহত হয়নি। দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আফিয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-২০২৩) বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসের মধ্যেই আটকে রবিউল আওয়াল নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ সময় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে যানজট লেগে যায়।
খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের সামনের অংশ কেটে ওই মৃত ব্যক্তিকে বের করে। দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে রাস্তায় বাসের কাঁচ ভেঙ্গে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ফায়ার সার্ভিসের দলটি উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে
দেয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মতিহার জোনের উধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তারাও যান। খবর পেয়ে আশেপাশের গ্রামের উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।
দুর্ঘটনা কবলতি বাসের একটি সরিয়ে নিলে ও রাস্তা থেকে ছড়িয়ে থাকা কাঁচ তুলে নিলে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে কাটাখালির রাস্তা আটকে দেয়া পুলিশ কর্মকর্তার ও কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে যানবাহন চালকন ও যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী এ অভিযোগ করেন। বিনা কারণে সেখানে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের সাথে চড়াও হয়ে কথা বলেন বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা অভিযোগ করেন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ১ জনকে মৃত অবস্থায় বাসের মধ্য থেকে বের করা হয়। পরে একজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মতিহার থানার ওসি বলেন, দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এস/আর