নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় একটু বেশি শীত অনুভূত হলেও গত ২/৩ দিন ধরে তাপমাত্রার পরিমাণ কমেছে। এতে করে এ এলাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে কুয়াশার পরিমাণও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি রাজশাহীতে। এদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় তাপমাত্রার পরিমাণ কম ছিল। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। চলতি সপ্তাহের গত রোববার সকালে সূর্যের না উঠলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য আকাশে উঁকি দিয়েছিল। এদিন সেটাও দেখতে পায়নি রাজশাহীবাসী। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা করছে
আবহাওয়া অফিস। শৈত্য প্রবাহ আসলে শীতের পরিমাণ বেড়ে যাবে। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে রাজশাহীর জনজীবন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পুরো নভেম্বর মাস ছিল শীতহীন। শীতের পোশাক ছাড়াই নগর ও আশেপাশের উপজেলার মানুষ বাইরে প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়েছে। ডিসেম্বর মাস পড়ার সাথে সাথেই শীতের পমিাণ বাড়তে থাকে। রোববার চলতি মৌসুমের প্রথম কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজশাহী। এরপর থেকে নিয়মিত শীত ও কুয়াশা থাকলেও বৃহস্পতিবার ছিল একেবারেই আলাদা। কারণ এদিন পুরো দিনই সূর্যের দেখা পায়নি রাজশাহীবাসী।
এদিকে, শীত বেশি পড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ও বিক্রি বেড়েছে। নগরের ফুটপাতসহ অভিজাত মার্কেটগুলোতে শীতের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী গরম কাপড় কিনছেন মানুষ। এর আগে শীত না পড়ার কারণে তেমন বেচাকেনা হয়নি। তবে অক্টোবর মাসের শেষের দিক থেকেই শিশুদের গরম কাপড় বিক্রি শুরু হয়। ভোর থেকে কুয়াশা থাকার কারণে আঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ী চালাতে দেখা গেছে। অন্য দিনের তুলনায় নগরে মানুষের কোলাহল কম দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে রাজশাহী অঞ্চলে শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। শৈত্য প্রবাহ বাড়লে শীতও বাড়তে পারে। কনকনে শীতে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হতে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এস/আর