নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে পাবিবারিক কলহের জের ধরে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বের হয়ে এসে শরীরে কেরোসিন ঢেলে লিজা রহমান (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরিক বোয়ালিয়া এলাকার আব্দুল লতিফের মেয়ে ও রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তার স্বামীর নাম সাখাওয়াত হোসেন। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার বাসিন্দা ও সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তারা বেশ কিছুদিন আগে প্রেম করে বিয়ে করে। নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুন পাড়া এলাকায় বসবাস করতো। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে টিটিসির সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের
মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, কলেজ ছাত্রী লিজা ও কলেজ শাখাওয়াত প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বেশ কিছুদিন আগে বিয়ে করেছিল। বিয়ে করার পর তারা নগরীর পবা নতুন পাড়া এলাকায় বসবাস করতো। কিন্ত তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের চলে আসছিলো। মেয়েটির মা-নাই। সে অনাথ। শনিবার সকালেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে তার ঝগড়া হয়। এরপর দুপুরে কলেজ ছাত্রী লিজা নগরীর শাহমখদুম থানায় অভিযোগ দিতে যায়। সেখানে সবকিছু শুনে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর হয়। দু’জন মহিলা কন্সটেবল তার অভিযোগের বিষয়গুলো জানতে চায়। এরপর ওই লিজা থানা থেকে বের হয়ে যায়। থানা থেকে বের হয়ে টিটিসির সামনে গিয়ে শরীরে কেরোসিন
ঢেলে আগুন দেয়। আগুনে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্ত তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা পাঠানো হয়।
তার স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। তার স্বামী সাখাওয়াত পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেন সে থানা থেকে বের হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তা জানা
যায়নি। মেয়েটি সুস্থ হলে তার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, লিজা নামের মেয়েটির শরীরের সামনে কোমরের ওপর থেকে মুখমন্ডল ও শ্বাসনালীসহ প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আর/এস