নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর সারদায় তেলবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় লাইন সংস্কার কাজে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যাবস্থাপক শহিদুল ইসলাম। ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন ট্রেনের টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা। রাজশাহী-ঢাকা অভিমূখের ট্রেনগুলো আটকে রয়েছে।
তিনি বলেন, লাইন সংস্কার কাজে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশীদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রেনের ৭ বগি উদ্ধার করা হয়। প্রায় ২৫ ঘন্টার প্রচেষ্টা শেষে ৭ টি বগি উদ্ধার করতে তারা সক্ষম হয়। বগিগুলো উদ্ধার ও লাইন সংস্কার হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। জানা গেছে, পুরাতন স্লীপার ও পাথর পরিবর্তন করা হচ্ছিলো এই লাইনে। স্লীপারের সাথে আটকানে কয়েকটি পিন খুলে রেখেছিল। পাথর ফেলার কারণে সেটি ঢেকে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত চাপে এ ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি ৩১টি বগি নিয়ে খুলনা থেকে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলো। প্রতিটি বগিতে ৫০ হাজার লিটার তেল রয়েছে। প্রতি বগির ওজন ৫০ টন। এদিকে, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারনে রাজশাহী-ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজশাহী-ঢাকা রুটের ৬টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে ট্রেনের টিকিট
ফেরত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে রাজশাহীগামী ট্রেন আটকে রয়েছে। ঢাকাগামী অনেক চাকুরীর পরীক্ষা বিপাকের মধ্যে পড়েছে। কারণ তারা আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজশাহী রেল স্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা ছিল। অনেকেই উপায় না পেয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাত ১১টার ট্রেনের টিকিট কেটে রাখা যাত্রীদের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি রয়েছে। যারা রাজধানী ঢাকায় পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলো। তারা স্টেশন মাস্টারের সাথে সাক্ষত করলে মাস্টার ১১টার ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলে তাদের জানান। সালমা
নামের এক নারী যাত্রী বলেন, রাত ১১টায় ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম ঢাকা যাওয়ার জন্য। স্টেশন মাস্টারের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি ১১টার ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। না যেতে পারলে নিয়োগ পরীক্ষাটা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। দু’দিন ধরে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে বাসের উপর চাপ বেড়েছে। তবে হঠাৎ করেই বাসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে না বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
আর/এস