নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলাগুলোতে দিন দিন তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রার পরিমাণ বাড়ছে। একদিকে সূর্যের প্রখর তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। প্রখর খরতাপে ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এমনিতেই মানুষ নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। তার উপর আবার বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। সময় ও অসময়ে যখন তখন বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুতের এমন যাতায়াতের কারণে মানুষ আরো বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। মানুষ ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টা খানেকের আগে সরবরাহ দেওয়ার নাম কথা নেই।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। কারণ গরমের মধ্যে বাইরে থেকে এসেও ঘরের মধ্যে মানুষজনকে বিদ্যুৎ না থাকায় নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এরপর গত ১৫ দিনে একবারও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টিহীনতার মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজশাহী। সহনীয় পর্যায়ের তাপমাত্রা থেকে অসহনীয় তাপমাত্রায় গরম বাড়তে থাকে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলতে থাকে। এ নিয়ে নগরবাসী চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
অনাবৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই রাজশাহীর উপজেলাগুলোর আমন ধানের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। আর গরমের পরিমাণও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে গত সপ্তাহের দিক থেকে রাজশাহীতে অসহনীয় পর্যায়ে গরম পড়তে থাকে। গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান ব্যাহত হচ্ছে। এই গরমের মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। যার কারণে মানুষ আরো ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। সালেহিন নামের একব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, গরমের মধ্যেও রাজশাহীতে বিনা কারণে যেভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে তা খুব খারাপ। এভাবে নগরবাসীকে হেনস্তা করা ঠিক হচ্ছে না। কেন বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া হচ্ছে তা মানুষকে জানানো দরকার। শামিম নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সময়ে ও অসময়ে রাতদিনে অনেকবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গরমের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করা দরকার। রোববার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহীতে কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিন্ত তেম বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আরো বেশি গরম পড়তে শুরু করে।
এদিকে, গত শনিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ওইদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। রোববার রাজশাহীতে তাপমাত্রা বেড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিমম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। রাজশাহী নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি। একটু পরে ফোন দিলে বিষয়টি জানানো হবে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার রাজশাহীতে তাপমাত্রা বেড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে