নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (পুলিশ)। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ও বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপির ডিবি পুলিশের ওসি আজমল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু ও নওগাঁর মহাদেবপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী বাবু।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর চিড়িয়াখানা ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি। এছাড়া বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বর্ণালি মোড় এলাকা থেকে যুবলীগের সেন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরএমপির ডিবি পুলিশের ওসি আজমল হক বলেন, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সেজন্য আদালতে তুলে তাদের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, সেকেন্দার আলী বাবুর গ্রেফতারের ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের বাসিন্দারা। তারা জানান, সেকেন্দার বাবু এলাকায় ‘লিচু বাবু’ ও ‘বোমারু বাবু’ নামে পরিচিত। হাসিনার শাসনামলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভূমি জালিয়াতি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছিলেন। লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকদের ওপরও নানা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছেন লিচু বাবু ও বিশ্বজিৎ নামে তার আরেক সহযোগী।
স্থানীয়রা জানান, সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শেল্টারে অপকর্ম করতেন বাবু। লিচু বাবুর লাঠিয়াল বাহিনী স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য সুশিলা কর্মকার ও নয়ন কর্মকারের ভূমি দখল করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভয়ে মুখ খুলতে পারতেন না কেউ। ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান বাবু। তবে তার এলাকায় আশ্রয় দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে। ডাবলু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীতে শহীদ দুজনের হত্যা মামলার আসামি। ডাবলুকে লিচু বাবুর এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। আর ডিবির জালে রাজশাহীতে ধরা পড়লেন সেকেন্দার বাবু।
বিএ..