1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে ডাস্টবিনের মধ্যেই গরু জবাই হচ্ছে, দেখার কেউ নেই! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ডাস্টবিনের মধ্যেই গরু জবাই হচ্ছে, দেখার কেউ নেই!

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ মারচ, ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলছেন। অবাক করা বিষয় হলেও সেই ডাস্টবিনেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জবাই হচ্ছে গরু। আর সেই গরুর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে নগরবাসীকে। অথচ সরকার খাদ্যে ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের অনেক স্থানের ন্যায় রাজশাহীতে বিভিন্ন খাবারের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। মানুষ যাতে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে পরিত্রাণ পায় সেজন্য অনেক প্রতিষ্টানকেও মোটা অংকের অর্থ জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিচ্ছেন। মানুষের অন্যান্য খাবারের মধ্যে মাংশ একটি অন্যতম দৈন্দিন খাবার। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে মানব দেহের জন্য মাংস একটি অপরিহার্য খাবার। রুচি সম্মত এই খাবার প্রায় প্রত্যেক মানুষ খান। কিন্তু মানুষ বাজার থেকে মাংস খাওয়ার নামে কি খাচ্ছে,

এখন তা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাজার থেকে কেনা মাংসগুলো কোথা থেকে জবাই করা গরুর তা কেউ জানেন না বা জানার চেষ্টাও করেন না। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তারা বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলছে। অথচ সেই ডাস্টবিনের মধ্যেই জবাই হচ্ছে গরু। গত শুক্রবার ভোরে নগরীর কোর্ট ষ্টেশন বাইপাশের ডাস্টবিনের মধ্যে কসাইদের গরু জবাই করতে দেখা যায়। সেখানে রয়েছে লক্ষ লক্ষ জীবানু। এই জীবানুর মধ্যেই তারা গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছে। সেইসাথে পাশেই থাকা নোংড়া পানি দিয়ে মাংশ পরিস্কার করছে। প্রতিদিনই কোর্ট স্টেশন বাজারের কসাইরা এই ডাস্টবিনে গরু জবাই করে থাকেন। খুব ভোরে হওয়ায় মানুষজন বিষয়টি দেখতে পায়না। আর রাতের বেলা ওই ডাস্টবিন থেকে সব ময়লা নিয়ে চলে যাওয়ার কারণে কিছুটা ফাঁকা থাকে

সেই স্থান। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ডাস্টবিনের মধ্যেই গরু জবাই করে সেই মাংস বাজারে বিক্রি করছে। এমন ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটে আসলেও বিষয়টি নজরে আসেনি কারো। যেন দেখার কেউ নেই! এ বিষয়ে কসাইদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কসাই বাবলু, জুলুø ও ফজলুসহ আরো অনেকে বলেন, গরু জবাই করার মত কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। রাস্তার উপর বা কারো বাড়ির সমানে গরু জবাই করলে পথচারী ও বাড়িওয়ালা গালিগালাজ করেন। প্রতি শুক্রবার গড়ে ৩০-৩৫ টি এবং অন্যদিনে ১০-১২টি গরু বাধ্য হয়েই এই ডাস্টবিনে জবাই করছেন তারা। তারা প্রতিদিন গরু প্রতি ২০ টাকা করে সিটি কর্পোরেশনকে প্রদান করেন। কর্পোরেশনকে তারা টাকাও দেন আবার জনগণের গালি শোনেন বলে অভিযোগ করেন তারা। তারা আরো বলেন, ডাস্টবিনের পাশে কিংবা শহরের সামান্য বাহিরে অনেক সরকারী খাস জমি রয়েছে। যেগুলো এক শ্রেণির ভূমি দস্যুরা দখল করে মার্কেট ও অন্যান্য স্থাপনা

করলেও কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দিচ্ছেনা। ডাস্টবিনের পাশেই রাস্তা ও রেলওয়ের জায়গা প্রতিদিন দখল হলেও কর্তৃপক্ষ অজানা কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এই সকল স্থানে গরু ও অন্যান্য পশু জবাই করার জন্য জবেহ খানা ইচ্ছা করলে সিটি কর্পোরেশন তৈরী করে দিতে পারেন বলে জানান তারা। তারা দ্রুত সময়ে মধ্যে এই সকল সরকারী জায়গা উদ্ধার কিংবা সুবিধামত স্থানে জবেহ খানা তৈরী করে দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নিকট দাবী জানান। পথচারী আবুল কাশেম, পিয়ারুল, সাহাবুদ্দিন ও আমিরুল ইসলাম বলেন, তারা প্রতিদিন এই ডাস্টবিনে গরু জবাই করতে দেখেন। এই অবস্থা দেখে বাজার থেকে মাংশ কিনে খাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। জীবাণুমুক্ত মাংশ খাওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দিষ্ট জবাই স্থান নির্মান ও প্রতিটি পশু ভাল করে পরীক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাটেনারী সার্জন ড. ফরহাদ উদ্দিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,

পশু জবেহ ও মাংশের মান নিয়ন্ত্রনে সরকার ২০১১ সালে একটি আইন পাশ করেছেন। এই আইনে ২৮টি ধারা রয়েছে এর মধ্যে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে কোন পশু জবেহ খানার বাহিরে জবাই করা যাবেনা। এছাড়াও জবাই করার পুর্বে পশুকে ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে গরু কিংবা অন্যান্য পশু জবাইয়ের পরেও পরীক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বৃহস্পতিবার পরিবেশ দুষন রোধে একদিন পশু জবাই বন্ধ থাকে। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসেনা বলে জানান ফরহাদ। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে সাহেব বাজার মাংশ পট্টিতে জবেহ খানা ছাড়া আর কোথাও জবেহ খানা নাই। কাসাইরা বাধ্য হয়ে রাস্তা, পুকুর পাড়, অন্যের বাড়ির সামনে, খোলা মাঠে, নিজ দোকান মধ্যে এবং ডাস্টবিনের মধ্যে গরু বা অন্যান্য পশু জবাই করছেন। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ দুষন হচ্ছে অন্যদিকে মাংশে প্রবেশ করছে জীবানু। এই জীবানুযুক্ত মাংশ খেলে নানাবিধ জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। একইস্থানে পশু জবাই না হওয়ার কারনে তারাও সঠিকভাবে মাংশের মাননিয়ন্ত্রনের জন্য পরীক্ষা করতে পারছেন না

এবং গরু প্রতি যে টাকা উত্তোলন করা হয় তাও তারা ঠিকমত উত্তোলন করতে পারছেন না। এতে সিটি কর্পোরেশন আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অন্যদিকে সাধারণ মানুষও মাংশের নামে জীবানু কিনে বাড়ি নিয়ে যেয়ে খাচ্ছেন বলে জানান তিনি। ফরহাদ আরো বলেন, আইন অনুযায়ী নগরীতে নির্দিষ্ট স্থানে জবেহ খানা তৈরী করার জন্য মেয়র বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে নির্দিষ্টস্থানে জবেহ খানা তৈরী করার জন্য কসাইদের সাথে একমত পোষন করে তিনিও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।জবেহ খানা নির্মানের অগ্রগতি সম্পর্কে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক এর নিকট জানার জন্য দুইবার মেবাইলে কল দেওয়া হয়। কল রিসিভ করলেও মিটিং এ ব্যাস্ত থাকার কারনে তাঁর মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST