1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে গ্যাস কম দেওয়ার অভিযোগ চালকদের, গ্রাহক বিড়ম্বনা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ২২ জানয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে গ্যাস কম দেওয়ার অভিযোগ চালকদের, গ্রাহক বিড়ম্বনা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ফেব্ুয়ারী, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহত্তরও রাজশাহীর একমাত্র সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে গ্রাহকদের গ্যাস কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চালকদের পক্ষ থেকে। সেই সাথে প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ীর মালিকদেরও গ্যাস ভরতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। কারণ পেশাদার সিএনজি ও গাড়ী চালকরা ওই ফিলিং ষ্টেশনের কর্মচারীদের সাথে হাত করে এলোমেলোভাবে গাড়ী রেখে প্রতিবন্ধকতার তৈরি করে। যাতে বাইরের ভিআইপিরা এসে প্রাইভেট কারে কম সময়ের মধ্যে গ্যাস নিতে পারে। আর চালকদের অভিযোগ ১০ লিটার গ্যাসে দুই লিটারই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। অথচ দাম লিটারই লাগে। এভাবেই প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের পকেট কাটছে এই ফিলিং সেষ্টশনটি। বিষয়টি জানার পরেও তাদের কিছু করার নাই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ি বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত মেসার্স এন বি ফিলিং ষ্টেশন। এই এলাকায় এটি একমাত্র সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন। এখান থেকেই পেশাদার সিএনজি চালক ও অন্যান্য গাড়ীর চালকরা গ্যাস ভরে থাকেন। কিন্ত এই ফিলিং ষ্টেশনে গ্যাস ভরতে আসা গ্রাহকরা প্রতিনিয়তই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। আবার স্থানীয় চালকদের বাড়াবাড়িতে অন্যরা ন্যায্য সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এন বি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের গ্যাস দেওয়া হয়। প্রতি লিটার ৪০টাকায় গ্যাস বিক্রি করা হয়।

একটি মাত্র ফিলিং ষ্টেশন হওয়ায় সেখানে প্রতিদিন অনেক গাড়ী গ্যাস নেওয়ার জন্য ভিড় জমায়। কিন্ত রেন্ট কার ও স্থানীয় সিএনজি চালকরা খামখেয়ালিপনা করে তাদের গাড়ী এলোমেলোভাবে রেখে প্রাইভেট কার চালক বা অন্য গ্রাহকদের গাড়ী প্রবেশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। কেউ কিছু বলতে গেলে তারা উল্টো সেই চালকেই হুমকি-ধামকি দেয়। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তবে চালকদের অভিযোগ, ফিলিং ষ্টেশনের কর্মচারীদের সাথেই হাত করে এ কাজ করে স্থানীয়রা চালকরা।

আর গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, অনেক কষ্টের পরেও গ্যাস পেলেও সেই গ্যাস কমে যাচ্ছে। গ্যাস ভরে ষ্ট্যার্ট দেওয়ার পরই তেলের মিটার নিচে নেমে যায়। আরমান নামের এক চালক অভিযোগ করে জানান, প্রতি ১০ লিটার গ্যাসে ২ লিটার কমে যায়। অথচ ফিলিং ষ্টেশনে টাকা ১০ লিটারের দিতে হয়। ষ্টেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো লাভ হয়না। তারা কর্ণপাত করে না। শামিম নামের আরেক চালক অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস কমে যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না। তারা কোনো কথাই শোনে না। আরেক চালক বলেন, ১৯ লিটার গ্যাস ভরার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৩ লিটার হারিয়ে যায়। বিষয়টি জানানোর পরেও কোনো লাভ হয়নি। চালকদের আরো অভিযোগ গ্যাস ও বাতাস ভরার কারণেই এমন অবস্থা হয়ে থাকে।

এদিকে, ওই ফিলিং ষ্টেশনে প্রাইভেট গাড়ীর মালিকদের জন্য কোনো সুবিধা নেই। কারণ প্রাইভেট গাড়ীর চালকদের প্রবেশের রাস্তায় স্থানীয় চালকরা এলোমেলোভাবে গাড়ী রেখে প্রতিবন্ধিকতার সৃষ্টি করে।
গ্যাস কমে যাওয়ার বিষয়ে এন বি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও স্পেনসার ম্যান মোস্তফা বলেন, গ্যাসের পেশার কম হওয়ায় গ্যাস কম হতে পারে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।

খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST