নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে খোলেনি নামি দামি শপিং মল ও মার্কেটগুলো। তবে রাস্তার ফুটপাত এবং কিছু দোকান খুলেছে। যদিও ফুটপাতে বসা দোকানগুলো পুলিশ উঠিয়ে দিচ্ছে। এর আগে গত ৯ মে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ও জেলা প্রশাসন যৌথসভা করে। সভায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো রোধে জনস্বার্থে ইদেও রাজশাহী মহানগরীর সকল শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে রাজশাহী নিউমার্কেটের একটি পক্ষ দোকান খোলার পক্ষে মতামত দেন আর অন্য পক্ষ ঈদের মার্কেট বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন। সভায় উপস্থিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ঈদে জনস্বার্থে মার্কেট বন্ধ রাখার পক্ষে মতামত দেন।
মার্কেট না খোলার পক্ষেই অনেকের মতামত থাকলেও রাজশাহী নিউ মার্কেট এর একটি পক্ষ ঈদে নিজেদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে মার্কেট খোলার পক্ষে মতামত দেন। পরদিন গত রোববার ১০ মে তারা দোকান খোলার দাবিতে মালিক ও কর্মচারীরা মিলে বিক্ষোভ করে নিউমার্কেটের সামনে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। তবে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন মার্কেট খুলতে দেখা দেয়নি। রাজশাহীর অত্যাধুনিক শপিং মল থিম ওমর প্লাজা নিজ থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্কেট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে মেন গেটের সামনে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত আর ডি মার্কেট, সাহেব বাজার কাপড় পট্টির কোন দোকান খোলা হয়নি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দুই এক জায়গায় ফুটপাতে এবং পোশাকের দোকান ছাড়া অন্য কিছু দোকান খোলা রয়েছে।
যদিও ফুটপাতে বাসা দোকানগুলোকে উঠিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেশকিছু শর্তে দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়। এ কারণে কিছু দোকান খুলছে। সোমবার সরোজমিনে রাজশাহী মহানগরী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। কিছু ব্রান্ডের শোরুম খোলা রয়েছে। তবে আগের তুলনায় মানুষের আনাগোনা ও চলাচল কিছুটা বেড়েছে। ব্যাংকিং লেনদেনের সময় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ব্যাংকেও গ্রাহকদের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে। এছাড়াও রাস্তায় অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল অন্য বেশ কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর পাশাপাশি মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল টিম। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল রাজশাহীতে প্রথম নারায়ণগঞ্জ ফেরত কোন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও গত তিনদিন আগে রাজশাহী জেলার এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। যে যেখানে আছে সেখানেই অবস্থান করা এবং সেখানেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। এ পর্যন্ত রাজশাহী জেলায় ১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে রাজশাহী মহানগর এখনো করোনা মুক্ত হয়েছে।
এমকে