রাজশাহী মহানগরীতে দূর সম্পর্কের ভাগ্নির সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও তুলে ও তা সংরক্ষণ করে সেই অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় শাফিউল ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কলেজ ছাত্র নওগাঁর মহাদেবপুর থানার হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা। আজ শুক্রবার ভোরে মহাদেবপুরের হাসানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে পবা থানা পুলিশ আটক করে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তত্বাবধানে পবা থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, সাদিয়া আক্তার (ছদ্মনাম) ও শাফিউল ইসলাম পূর্ব পরিচিত এবং তারা দূর সম্পর্কের মামা-ভাগ্নী। একসাথে লেখাপড়া করার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলার সময় অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রেমিক শাফিউল। কিছুদিনের মধ্যেই ওই কলেজ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শাফিউল তার প্রেমিকা সাদিয়া আক্তার (ছদ্মনাম) এর নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে আগে তুলে রাখা অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। শুধু তাই নয় ওই অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো সাদিয়ার বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজনের ম্যাসেঞ্জারেও প্রেরণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাদিয়ার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনার পর সাদিয়া তার
চাচার বাড়ি নওহাটায় থাকাকালে পবা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে আসামীর অবস্থান সনাক্তপূর্বক পবা থানার পুলিশের একটি দল ২১ মে রাত ৩টার দিকে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার হাসানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাফিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, দূর সম্পর্কের মামা-ভাগ্নি এক সাথে পড়াশোনার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্ক থাকাকালীন ডিডিও কলে কথা বলার সময় অশ্লীল ভিডিও ছবি সংরক্ষণ করে প্রেমিক শাফিউল। কলেজ ছাত্রীর বিয়ের পর সেগুলো প্রেমিকার নামে এ্যাকাউন্ট খুলে ফেসবুকে ছাড়লে ওই ছাত্রীর স্বামী চলে যায়। এরপর ওই ছাত্রী মামলা করলে আসামীকে আটক করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এস/আর