1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে কলেজের নারী প্রভাষকের রহস্যজনক মৃত্যু - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১২ জানয়ারী ২০২৫, ১০:১ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে কলেজের নারী প্রভাষকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৮ মারচ, ২০১৮
khobor24ghonta.com

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের নারী প্রভাষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ পুলিশ তার শোয়ার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ।

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সামছুুন নাহার। তিনি তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক ছিলেন। তার বাড়ি তাহেরপুর পৌরসভার পাবনাপাড়া এলাকায়। নাহার তাহেরপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ আলী মৃধার মেয়ে ও তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মুনছুরের বোন। নিহত নাহারের স্বামী সাইফুল ইসলাম তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক।

ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, কীভাবে নাহারের মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে নাহারের পিঠে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়াও তার ঘরে ধস্তাধস্তি ও বোমি করার আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল তার স্ত্রী নাহারকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন। পরে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয় বলে জানান ওসি।

ওসি বলেন, নাহারের লাশ তার শোয়ার ঘরের খাটের উপর পাওয়া গেছে। তবে ঘরের দরজা খোলা ছিল। আর বাড়ির মেইন গেটের দরজা বাহির থেকে তালা লাগানো পাওয়া যায়। সকাল ১০ টার দিকে নাহারের ছোট মেয়ে বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পায়। এ সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না বলে জানান ওসি নাছিম।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল পুলিশকে জানিয়েছে, মুনছুর চলে যাওয়ার পর নাহারের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এ সময় সে ঝাড়– দিয়ে নাহারকে সামান্য মারপিট করে রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তিনি ওই রাতে রাজশাহী শহরে চলে যান। সকালে পুলিশের ফোন পেয়ে তিনি তাহেরপুরে গিয়েছেন। তবে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর কি হয়েছে তা জানা নেয় বলে সাইফুল পুলিশকে জানিয়েছেন।

নাহারের ভাই আমজাদ হোসেন মৃধা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলোহ চলছিল। এর জের ধরে মাঝে মধ্যে নাহারকে নির্যাতন করতেন সাইফুল। বুধবার গভীর রাতে তার ভাই আবু বাক্কার মৃধা মুনছুর গিয়ে নাহার ও সাইফুলের মধ্যে মিমাংসা করে দেন। এর পর রাত ১টার দিকে মুনছুর বাড়িতে চলে আসেন। সকালে তারা মৃত্যুর সংবাদ পান।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST