নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে ব্রাকের এক মাঠ কর্মীর বিরুদ্ধে নারী সদস্যকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী সদস্য হাফিজার স্বামী সুমন সরকার বাদি হয়ে শাহমখদুম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ১ তারিখ ব্রাকের পবা শাখার মাঠকর্মী আব্দুল মতিন সুমন সরকারের বাড়িতে কিস্তির টাকা নিতে আসেন। ওই সময় বাড়িতে সুমন সরকার বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী হাফিজা বাড়িতে একা ছিলেন। হাফিজাকে বাড়িতে একা পেয়ে এনজিও কর্মী মতিন কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার শরীরে হাত দেওয়ারও চেষ্টা করে। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে পৌঁছে স্ত্রী হাফিজাকে রক্ষা করে। ঘটনার পর স্থানীয় অনেক লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যায়। পরে ওই শাখার ম্যানেজার ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন গিয়ে মতিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
সুমন সরকার খবর ২৪ ঘণ্টাকে অভিযোগ করে জানান, তার স্ত্রীকে একা পেয়ে এনজিও কর্মী মতিন কুপ্রস্তাব দিয়েছে। এটার ন্যায্য বিচারের দাবিতে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় বখাটে সাদেক কে টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে এনজিওর লোকজন। তাই ভয়ে বাড়িতে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িতে যেতেও ভয় হচ্ছে। সাদেক বাহিনী দীর্ঘদিন ওই এলাকায় নানা ধরণের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
ব্রাকের মাঠ কর্মী আব্দুল মতিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরণের ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তাকে ফাঁসানোর এমন অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি শুধু কিস্তির টাকা নিতেই তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
ব্রাকের পবা শাকার ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ শেখ বলেন, আমার কর্মীর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যা। ঘটনার পর সেখানে আমিও গিয়েছিলাম। তার পিতা ও প্রতিবেশী লোকজন সুমনকেই বকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছে। তারপর তারা টাকার চাপ দিয়েছিল। টাকা দিতে না চাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে শাহমখদুম থানার এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে