নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন সড়ক আইন কার্যকরের প্রতিবাদে গত দুই দিন আগে থেকে হঠাৎ করেই শুরু হওয়া বাস ধর্মঘটে বাস চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে। শুধু জেলার বিভিন্ন উপজেলার লোকাল রুটে বাস চলাচল করছেনা। তিন ধরে বাস চলাচল না করার কারণে ট্রেনের উপর চাপ বেড়েছে। বাস বন্ধ থাকায় মানুষ বেশি ট্রেনমুখী হওয়ায় চাপাচাপি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে গত দুই দিন আগে থেকে
হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে রাজশাহী জেলা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতকারী মানুষরা বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যান। যাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে, বাস চলাচল না করার সুযোগে অটোরিক্সা, থ্রি হুইলার ও সিএনজি চালকরা যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন। ন্যায্য ভাড়া দিতে চাইলে তারা গাড়ীতেই যাত্রীদের নিচ্ছে না। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শ্রমিকরা সড়ক
আইন-২০১৮ কার্যকরের প্রতিবাদে বাস বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। প্রথম দিন পার হলেও পরের দিন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বাস চলাচলের জন্য নির্দেশ দেন। তারপরও শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত অমান্য করে বাস চালায়নি। তবে কিছু শ্রমিক বাস চালাতে শুরু করে। সোমবার, মঙ্গলবারও বাস বন্ধ থাকে। বুধবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক না হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বিকেল থেকে বা বৃহস্পতিবার থেকে চলাচল স্বাভাবিক হবে জানানো
হয়। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, বাস বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নাই। শ্রমিকরা ভয়ে বাস বাস বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিন স্বাভাবিক না হলেও কাল সকাল থেকে স্বাভাবিক হবে।
আর/এস