নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর ও জেলায় এক মাসে ২৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ২১টি ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৭টি। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী জেলায় গত মাসে ২১ টি নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মহানগরীতে ১১টি। মহানগরীর বাহিরের উপজেলাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ১০ টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে বাঘায় ৪টি, পুঠিয়ায় ৩টি, তানোরে ২টি এবং দুর্গাপুরে ১টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তবে বাগমারা, চারঘাট, গোদাগাড়ি, পবা, মোহনপুর থানা এলাকায় কোন নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে হত্যার চেষ্টা ৪টি, ধর্ষণ ১টি, অপহরণ ৪টি, এসিড নিক্ষেপ ১টি, আত্মহত্যা
৬টি, আত্মহত্যার চেষ্টা ৩টি এবং অন্যান্য ২ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলায় গত মাসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৭টি। এর মধ্যে মহানগরীতে সংগঠিত হয়েছে ৩ টি এবং মহানগরীর বাহিরের ৯টি উপজেলায় সংঘটিত হয়েছে ৪টি। এর মধ্যে বাঘা টি, মোহনপুরে ১টি এবং দুর্গাপুরে ১টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পবা, চারঘাট, পুঠিয়া, তানোর এবং বাগমারা থানায় কোনো শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। এ মাসে শিশু ধর্ষণ ২টি, ধর্ষণের ১টি, এবং ৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল, জানুয়ারী মাসের ২ তারিখে রাজশাহী মহানগরীতে পাষ- স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ, ৪
জানুয়ারি দূর্গাপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষিত, ৯ জানুয়ারি বাঘায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা, ১০ জানুয়ারি দুর্গাপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার, ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজছাত্রী অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ১৮ জানুয়ারি তানোরে মা-মেয়েকে মারপিট, ২২ জানুয়ারি বাঘায় সুপার ভ্যাসমল তেল পান করে নারীর আত্মহত্যা এবং ৩০ জানুয়ারি পুঠিয়ার বানেশ্বরে শিশুর সামনে পেট্রোল ঢেলে মায়ের গায়ে দুর্বৃূত্তদের আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, লফস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে মোট ২৯ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস