নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে গত এক মাসে (নভেম্বর) ১৭ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭টি নারী ও ১০টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’ এর ‘রিসার্চ, ডকুমেন্টেশন এন্ড পাবলিকেশন ইউনিট’ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নভেম্বরে মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে গত ১ নভেম্বর ২০১৯ নগরীর কাটাখালিতে শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, একই দিনে বাঘায় যৌন হয়ারানির অভিযোগে যুবক আটক, ১২ নভেম্বর বাঘায় ১০ দিন পর অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, ১৪ নভেম্বর নগরীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, একই দিনে চারঘাটে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা,
১৭ নভেম্বর তানোরে অপবাদ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, ২১ নভেম্বর রামেক হাসপাতালের তিনতলা থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা, ২০ নভেম্বর বাগমারায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, ২৮ নভেম্বর নগরীতে মেয়ে সহপাঠিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কলেজছাত্রকে ছাত্রকে মারধর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলায় নভেম্বর মাসে ৭ টি নারী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ২ টি এবং মহানগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৫ টি নির্যাতনের ঘটনা। এরমধ্যে বাঘায় ৩টি, চারঘাটে ১ এবং তানোর ১টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার মধ্যে ধর্ষণ ১টি, হত্যা ১টি, আত্মহত্যা ২টি, যৌন হয়রানি ১টি, নিখোঁজ ১টি এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে ১টি। জেলায় গত মাসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ১০ টি। এসব ঘটনার মধ্যে মহানগরীর থানাগুলোতে সংঘটিত হয়েছে ৩ টি এবং মহানগরীর বাইরের থানাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ৭ টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে বাগমারায় ২টি, বাঘায় ১টি এবং পুঠিয়ায় ১টি, চারঘাটে ৩টি শিশু নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার মধ্যে হত্যা ১টি, অপহরণ ৩টি, আত্মহত্যা ১টি, যৌন হয়রানি ৪টি এবং নিখোঁজের ঘটনা ঘটে ১টি।
আর/এস