নিজস্ব প্রতিবেদ :রাজশাহী মহানগরীতে মাগফুরুর রহমান ডাবলু নামের এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই তসলিমের বিরুদ্ধে। গত ১৮ এপিল নগরীর রাজপাড়া থানাধীন সিটি বাইপাস সংলগ্ন ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে ডাবলুর বাবা আব্দুর রহমান (মজু) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে এ লিখিত অভিযোগ করেন। আব্দুর রহমান (মজু) পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িসহ বেশ কিছু গুরুপ্ত পূর্ণ জাগয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর নতুন বিলসিমলা এলাকার আব্দুর রহমান মজুর ছেলে মাগফুরুর রহমান ডাবলুকে ১৮ তারিখ রাত আনুমানিক পৌনে ৮টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই তসলিম উদ্দিনের নের্তৃত্বে ৩/৪ জনসহ কথিত সোর্স সাদা পোশাকে আটক করে। আটকের সংবাদ পেয়ে ডাবলুর বাবা বাসা থেকে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআই তসলিমের কাছে আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় এলাকাবাসী সেখানে জড়ো হয়ে যায়। এলাকাবাসীর চাপের মুখেও আটকের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেন নি।
ওই সময় তার সঙ্গে থাকা কথিত সোর্সসহ প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তার শরীর তল্লাশীসহ মসজিদের আশেপাশে তল্লাশী করে। সেখানে কিছু না পাওয়া যাওয়ায় পশ্চিমে ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগ কার্যালয় সংলগ্ন তার ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পর পরই হেলমেট পরা কর্থিত সোর্স পার্টি অফিসের পেছনে ড্রেনের উপর খোঁজাখুজি শুরু করে। সেখানে ড্রেনে ইয়াবা ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে উপস্থিত এলাকাবাসী নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই নাটকীয়ভাবে পুলিশের একজন সোর্স ও একজন পুলিশ সদস্য হেলমেট পরা অবস্থায় চিৎকার করে বলেন, স্যার ৭পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে ডাবলুকে ডিবি অফিসে নিয়ে চলে যায়।
উপস্থিত জনগন মোবাইলে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন।
পরদিন ১৯ তারিখ সকাল ৮টার দিকে ডাবলুর বাবা রাজপাড়া থানায় ছেলের সাথে সাক্ষাত করতে যায়। এ সময় ডাবলু কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বাবাকে জানায়, ডিবি অফিসের এএসআই তসলিম তাকে বলেছে তোর কাছে ২০ পিস ইয়াবা ছিল সেটা তুই স্বীকার করবি। নইলে তোকে-জামায়াত শিবিরের নাশকতা মামলা দিয়ে ক্রস ফায়ার দেওয়া হবে।
ছেলের মুখে এমন কথা শুনে ডাবলুর বাবা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাসায় গিয়ে বিষয়টি সবাইকে জানায়। তার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সে সময় ২০ পিস ইয়াবা তার পকেটে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মামলায় যাদের সাক্ষী বানানো হয়েছে তারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তাদেরসহ ঘটনাস্থলের আরো অনেককে জিজ্ঞাস করলে এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
তাই তার বাবা ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার ও দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান পিপিএম বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ