নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় আবারো বৃষ্টিপাত ও ঝড় হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে পথচারীরা রাস্তাঘাটে আঁটকা পড়ে। বৃষ্টি শুরুর সময় থেকেই নগরজুড়ে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইফতারির আগ মুহূর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় নগরবাসী ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এমনকি ইফতারির সময়ও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। ইফতারির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় আরো সমস্যার মধ্যে
পড়েন রাজশাহীবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় সূর্যের খরতাপ পড়ে। খরতাপে প্রচন্ড গরমের মধ্যে মানুষজন সমস্যার মধ্যে পড়েন। বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন দিনমজুর ও রিক্সাচালকরা। রোদের মধ্যে তারা বেশি সময় ধরে তারা মাঠের মধ্যে থাকতে পারেননি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদেরও তেজও বাড়তে থাকে।
জুম্মার নামাযের পর বেলা ৪টার দিকে হঠাৎ রাজশাহীর আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। এর
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড়ো বাতাসের সাথে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। আধা ঘন্টা পর আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়। হালকা বৃষ্টি শুরু হলেও ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণের সাথে সাথে বাতাসের বেগও বেড়ে যায়। এ সময় পথচারীরা আঁটকা পড়ে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পথচারীরা রাস্তার ধারের বিভিন্ন ভবনের নিচে আশ্রয় নেয়। অনেককে আবার ভিজতে ভিজতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা যায়। বৃষ্টি শুরু হলে রাজশাহীর আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যায় ও গরম কমে যায়। প্রায় বিকেল সোয়া ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। রাজশাহী
আবহাওয়া অফিসের সরকারী টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি।
ঝড়ো বাতাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি গাছ ভেঙ্গে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।রাজশাহী নেসকোর ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, অল্প সময় বাতাস হলেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে গেছে। এতে অনেক তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দ্রত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হবে।
আর/এস