অশ্লীল ও আপত্তিকর লাইকি ভিডিও তৈরির মূল হোতার টার্গেট ছিল অভাবি ও কোমলমতি কিশোরী। যাদের সহজেই নিজেদের লাইনে নিয়ে এসে তৈরি করা হতো আপত্তিকর অশ্লীল লাইকি ভিডিও। তাদের লোভ দেখানো হতো রাতারাতি তারকা খ্যাতি পাওয়ার। আর সেই লোভে পড়ে অশ্লীল লাইকি ভিডিও তৈরির দায়ে রাজশাহী মহানগরীতে যুবতীসহ ৪ জনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। লাইকি ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের বিপদগামী করে আসছিলো। এ নিয়ে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আরএমপি সদর দপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার কানপাড়া গ্রামের ওয়ারেশ আলীর ছেলে লাইকি ভিডিও তৈরির মূল হোতা মেহেদি হাসান ওরফে ইমন (২০), নগরীর মতিহার থানাধীন খোজাপুর গোরস্থান এলাকার সবুজ আহম্মেদের স্ত্রী তানিশা ওরফে তানি ইসলাম বিউটি (২৬), নগরীর রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর ও স্থায়ী ঠিকানা নওগাঁ জেলার মান্দা থানার আতাউরের মেয়ে আকলিমা খাতুন বেবি ওরফে সুলতানা ওরফে তিশা ওরফে পায়েল (২০) ও নগরীর চন্দ্রিমা থানার মুশরইল বার রাস্তার মোড় এলাকার শাকিল হোসেনের ছেলে রাব্বি ওরফে রোমিও (২৩)।
জানানো হয়, রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিছু তরুণ-তরুণী রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় অশ্লীল লাইকি ভিডিও তৈরি করছে। বিষয়টি জানতে পেরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজশাহীর পদ্মা গার্ডেন, ভদ্রা পার্ক, জিয়া পার্ক, বিমান চত্তর, টি বাঁধ, আই বাঁধ এলাকা হতে অশ্লীল ও আপত্তিকর লাইকি ভিডিও বানানোর অপরাধে ৪ জনকে আটক করে। যার মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাইকি গ্রæপের ভিডিও তৈরীর মুল হোতা গ্রেফতারকৃত আসামী মেহেদী হাসান জানায়, সে লাইকি ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে প্রায় আট থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করে এবং কোমলমিত অভাবি কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে এ সমস্ত অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করতো।
আরো জানানো হয়, রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই এধরনের ভিডিও তৈরি করে নৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুবক সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরাসহ মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও কিশোর অপরাধের মতো ঘটনা উস্কে দিচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীতে অশ্লীলতা প্রতিরোধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ১ জুন টিকটকে অশ্লীল ভিডিও তৈরির অপরাদে ৯ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করে।
এস/আর