নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি হওয়া অজ্ঞাত যুবতীর অবশেষে পরিচয় মিলেছে। ওই যুবতী রাজশাহীর পবা থানার নওহাটা পবাপাড়া এলাকার মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী রানি বেগম। গত সোমবার সকালে তাকে আরএমপির কর্ণহার থানার দারুসা বাজারের কাছে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে দারুসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে পবা থানার নওহাটা পবাপাড়া এলাকার মিলনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে রানির বিয়ে হয়। মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী রানি। পারিবারিক কলহের জের ধরে রানির স্বামী তাকে মারধর করে। এরপর রানি তার স্বামী মিলনের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পবা থানার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। থানায় যাওয়ার পথে তার স্বামী মিলন পাঁচ বন্ধুসহ রানির পথরোধ করে মামলা করতে যেতে নিষেধ করে ও ৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির কথা বলে। তাদের কথায় রাজি না হয়ে রানি কর্ণহার থানার দারুসা বাজারের দিকে চলে যায় ও রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দারুসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভর্তির পর তিনি নিজেকে রানি বলে জানান। প্রথমে ভালভাবে তার পরিচয় না পাওয়া গেলেও বুধবার তার মা হাসপাতালে গিয়ে নিজের মেয়ের পরিচয় সনাক্ত করে। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার মা পবার একটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করে। তারা পবা থানায় একটি মামলা দায়ের করবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আরএমপির কর্ণহার থানার ওসি সেলিম বাদশা বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অজ্ঞাত যুবতীর পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় তাদের মধ্যে মনমালিণ্য হয়। পরে মামলা করতে গিয়ে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পবা থানায় মামলা করা হবে বলে রানির মা জানিয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে