নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাজবাড়ী থেকে অপহৃত জসিম উদ্দিন নামের একব্যক্তিকে রাজশাহী মহানগরী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত নারীসহ তিন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার ব্যক্তি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার উজানচর গনি শেখেরপাড়া এলাকার মৃত শেখ নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। তিনি একটি মশার কয়েলের কোম্পানীতে চাকুরী করেন। পুলিশের হাতে আটক অপহরণকারীরা হলো, নগরীর শাহমখদুম থানার মধ্য নওদাপাড়া এলাকার আরমান আলীর ছেলে বিপ্লব উদ্দিন (৩৫) ও বিপ্লবের স্ত্রী কাকোলী বেগম (৩২),
নগরীর বোয়ালিয়া থানার শালবাগান পাওয়ার হাউজ মোড় এলাকার তাহাজুলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২)। ২৫ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ আটক করে। অপহরণকারীদের কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা ও ৪টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ তারিখ অপহৃত ব্যক্তি জসিম নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে অপহরণকারী কাকোলী, বিপ্লব ও শরিফুল জসিম অপহরণ করে। এরপর
অপহরণকারীরা জসিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার বাড়ির লোকজনের কাছে বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দাবী করে। এর কিছুক্ষন পর পুনরায় এক লাখ টাকা দাবী করে অন্যথায় অপহৃত জসিম উদ্দিনকে খুন করার হুমকি প্রদান করে। ভিকটিমের লোকজন প্রথমে বিশ হাজার এবং পরে ৩৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে। পরে বাদীর ভাই শেখ মোঃ জাহিদুর রহমান রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলাটি দায়ের হয়। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে
অপহরণকারীদের অবস্থান রাজশাহীতে নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি আরএমপির শাহমখদুম থানা পুলিশকে জানায়। এ প্রেক্ষিতে আরএমপি শাহমখদুম থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে এবং নারীসহ তিন আসামীকে আটক করে। শাহমখদুম থানা পুলিশ পরে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশের নিকট ভিকটিম, আসামী, নগদ অর্থ ও চারটি মোবাইল ফোন হস্তান্তর করে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর