খবর২৪ঘন্টা নিিউজ ডেস্ক: একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করছে বলে জানয়েছেন সুনামগঞ্জ–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানায় দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার।
রতন বলেন, ‘একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করছে। আমি নিজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের ৩০টি অফিস করে দিয়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।’
কানাডায় বাড়ি আছে কী-না এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। বিদেশে কোনো বাড়ি নেই।’
এর আগে তকে হাজির হতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নোটিশ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার জিকে শামীমসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
এর আগে ২৪ অক্টোবর দুদক থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ওই চিঠিতে দেশে মানি লন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ এবং দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টি মামলা করেছে দুদক।
ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক।