রাজধানীর মিরপুরে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা।
আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসার ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে বাগদাদ শপিং মলের ১০ তলায় হোটেল আল মামুন আবাসিকে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা নেই। হোটেলটিতে ২৪ ঘন্টায় সেখানে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ছাড়াই বুকিং দেয়া যায়। কস্টমারদের চাহিদা মত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিভিন্ন বয়সের নারী সরবরাহ করে থাকেন হোটেলে কর্মরত স্টাফ রা ।
অভিযোগ রয়েছে হোটেলটিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েসহ মডেলখ্যাত তারকাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চলে ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলেই হোটেলের বিভিন্ন কামরায় বসে মাদকের আসর। ভবনের ১১ তলায় রয়েছে মদের বার,সেখান থেকে মদ সাপ্লাই এবং হোটেল স্টাফদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মরণ নেশা ইয়াবা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রাতভর মদ, ইয়াবা, গাঁজা সেবন ও নারীসঙ্গ দিয়েই রঙ্গলীলায় মেতে থাকে আবাসিক হোটেল গুলো
মিরপুরে ব্যাঙের ছাতার মত একের পর এক গড়ে উঠছে আবাসিক হোটেল। হোটেলগুলোর অধিকাংশ চলে নারী দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড। এরমধ্যে, আল মামুন, দি-লন্ডন প্যালেস ও হোটেল হোয়াইট ব্রিজসহ আরো আবাসিক হোটেল। এদের মূলহোতা হিসেবে ভূমিকায় রয়েছে হোটেল আল মামুনের মালিক মামুন ও হোটেল হোয়াইট ব্রিজ ও লন্ডন প্যালেসের মালিক মারুফ।
করোনাকালীন সময়ে রাজধানীর গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন স্পা সেন্টারগুলো প্রশাসনিক চাপে অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যায়। স্পার সমস্ত মালিকদের সাথে মামুনের রয়েছে দৃঢ় সখ্যতা। এই সম্পর্ককে পুঁজি করে মুঠোফোনের মাধ্যমে খদ্দের সংগ্রহ করে থাকেন মামুন। অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামাইয়ের কারনে কয়েকদিন পরপরই বিদেশে পাড়ি দিয়ে থাকে।
জানাগেছে, মিরপুর ১২ পল্লবীতে কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মামুনের আরও একটি বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল। হোটেলের শুধুমাত্র সাজসজ্জায় ব্যয় করা হয়েছে প্রায ৫ কোটি টাকা। মনোরঞ্জনের সব ধরনের ব্যবস্থাই থাকছে হোটেলটিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাগদাদ শপিং সেন্টারের পাশে রয়েছে মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গলি হাই স্কুল ও আন-নূরী জামে মসজিদ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্কুল ও মসজিদের পাশেই কিভাবে মদের বারসহ দেহ ব্যবসা পরিচালনা হয় বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এমন অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধসহ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনে কাছে দাবি জানান।
বিএ/