গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া শতবর্ষী ওই বৃদ্ধা ১৭দিন পর স্বজনদের নিকট ফিরে গেছে । মঙ্গলবার রাতে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বজনরদর নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান,রহনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমদ,রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজমসহ ওই বৃদ্ধার ছেলে আবুল কাশেম,পুত্রবধু রহিমা বেগম,ওই এলাকার ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, প্রতিবেশী মহিউদ্দিন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তার স্বজনদের কাছে ওই বৃদ্ধার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই বৃদ্ধার নাম রাহেলা
খাতুন,তার স্বামীর নাম মৃত নবী মন্ডল,সাং রামচন্দ্রপুর,থানা ঝিকরগাছা,জেলা-যশোর। সে কোন এক সময় ছোট ছেলের যশোরের নাভারণ বাড়ি থেকে বড় ছেলের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে ভূলক্রমে খুলনা থেকে রহনপুরগামী মহানন্দা ট্রেন যোগে রহনপুরে এসে পৌছে। গত ১২ জানুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় রহনপুর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে ওই শতবর্ষী বৃদ্ধার অসহায় অবস্থায় পরে থাকার খবর প্রচার হলে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তৌহিদ মন্ডল ও ডিএসবি সদস্য নুরুন্নবী সেদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে রহনপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর ময়মনসিংহের ভালুকা বৃদ্ধাশ্রম “সাড়া” তার দায়-দায়িত্ব
গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এছাড়া তারা তাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিতে জেলা প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করে।তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে রহনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমদ তার দেখাশোনা করে আসছিলেন। এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসনতার সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে তার স্বজনরা গত সোমবার হাসপাতালে আসলেও মঙ্গলবার তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে নিতে আসা স্বজন ও জনপ্রতিনিধি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পথে রওনা হয়।
আর/এস