নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র মাহে রমজান মাসের শুরু থেকেই রাজশাহী মহানগরীতে কলার দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পবিত্র রমজানে ইফতারির সময় কলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ফল। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এ ফলটি প্রায় সব ধরণের মানুষ খেয়ে থাকেন। রোজার আগে এর দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও রোজা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এর দাম বেড়ে গেছে প্রায় দ্বি-গুণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বাজারগুলোতে কয়েক প্রকারের কলা বিক্রি হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়ের বাতি, কাপাসি, কাঁঠালী, হাটহাজারী, আনাজী, বারি কলা-১, বারি কলা-২ ও বারি কলা-৩।
এরমধ্যে সাগর কলাই বাজারে বেশি বিক্রি হয়। রমজানের আগে সাগর কলা ১২-১৬ টাকা হালি বিক্রি হলেও রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে এর দাম প্রায় দ্বি-গুণ হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে এ কলা বিক্রি হচ্ছে ২৪-৩০ টাকা হালি। এ কলাই নগরীর বাজারে বেশি বিক্রি হয়। ছোট কলা ৮-১২ টাকা হালি করে বিক্রি হলে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২৪ টাকা হালি। এ ছাড়া প্রত্যেক প্রজাতির কলার দাম বেড়েছে।
অন্যান্য ফলের থেকে কলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকায় তা গ্রাহকের চাহিদার শীর্ষে থাকে। কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি একটি ফল।
কিন্ত হঠাৎ করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে এই ফলটির দামও বেড়ে যায়। দাম বেড়ে যায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে ৩০ টাকা হালির নিচে কলা পাওয়ায় দুস্কর। সোমবার বিকেলে কলা কিনতে আসা এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইফতারির সময় কলা একটি প্রয়োজনীয় ফল। কয়েকদিন আগেও এর দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্ত এখন এর দাম বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। রমজানের আগে থেকে বাজার মনিটরিং করা হলে ব্যবসায়ীরা কোন ফলের দাম বাড়াতে পারবে না। আর যারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
আরেক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য ফলের তুলনায় কলা খুব উপকারি একটি ফল। কিন্ত কলার যেভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে কেনাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
কলা ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রমজানে পাইকারি বাজারে কলার দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ইচ্ছা করে দাম বাড়ানো হয়নি।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।