খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আরেক আসামি রফিকুলকেও দুদিন আগে আটকের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেয়া হয়নি বলেও দাবি তাদের। তবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সাথে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই। এদিকে, বিস্ফোরণে দুই মামলায় তিন আসামীকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ইট-বালু সরবরাহের ব্যবসা করতেন রফিকুল ইসলাম। অনেক বেশি বিত্তশালী না হলেও তিন কন্যা আর মা-ভাই-বোন নিয়ে সুখের সংসার ছিল মিরপুরের এই ব্যবসায়ীর। সুখের সংসার লন্ডভন্ড হয়ে যায় ২৭ জুলাই সন্ধ্যায়।
পল্লবী থানার পরিদর্শক এমরানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ পরিবারের। এরপর থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাতো নেয়নি উল্টো বাজে ব্যবহার করে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কালো গাড়িতে আসা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা হুট করে এসে চট করে তুলে নিয়ে যান রফিকুলকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কাউনিয়া থেকে শহীদুলকে আটক করা গাড়ির সাথে যার মিল ছিল।
রাজধানীর মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে দু’দিন আগে শহিদুল ও রফিকুলকে আটকের বিষয়টি কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা বলে গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে রফিকুলকে নিরীহ দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছে তার পরিবার।
খবর২ঘন্টা/নই