রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইভিএম ধীরগতিতে ভোট হওয়ায় কাক্সিক্ষত ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ হয়। ঘন কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে থাকেন।
২২৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙল) পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়ালের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকের লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।
ফলাফল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ইভিএমএ ভোট ধীরগতিতে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রের মেশিনের ত্রুটির কারণে ভোট কম পড়েছে। যদি স্বাভাবিকভাবে ভোট হতো তাহলে এবার আমি দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম।
অনেক কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট : নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় হলেও অনেক কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। এক দিকে অনেক কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে, আর অনেক কেন্দ্রে চলেছে ভোট। ইভিএমএ ভোট ধীরগতিতে হওয়ায় যারা সাড়ে ৪টার আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তাদের ভোট নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল সাড়ে ৪টার পরও যেসব কেন্দ্রের ভেতরে মানুষ থাকবে সেখানে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবারের রসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি। এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৬০ জন। মেয়র পদে ৯ জন ও কাউন্সিল পদে প্রার্থী ১৮৩ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিএ/