1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
যে কারণে ডাকসুতে নিজেদের নিরঙ্কুশ জয়ী ভাবছে ক্ষমতাসীনরা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন

যে কারণে ডাকসুতে নিজেদের নিরঙ্কুশ জয়ী ভাবছে ক্ষমতাসীনরা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ মারচ, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ইতিহাসে কখনোই বিজয়ী হয়নি ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতাসীন দল বা ব্যক্তি সমর্থিত প্রার্থীরা কোনওবারই ভিপি বা জিএস পদে বিজয়ী হননি। এমনও হয়েছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংসদ মাত্র একটি পদ

পেয়েছিল। এই প্রথম জিএসসহ ২৫টি পদের ২৩টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। অধিকাংশ হলে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ের পাশাপাশি বাকি হলগুলোর কিছু কিছু পদেও ছাত্রলীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যে কারণে এ জয়কে নিরঙ্কুশ মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা। তারা মনে করছেন, এটি একটি রেকর্ড।

এ বিবেচনায় সার্বিকভাবে ডাকসুর ফলাফলে খুশি ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ডাকসুতে এতো বড় বিজয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। তার রাজনৈতিক দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়েই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে পেরেছে ছাত্রলীগ।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় পরিষদে ২৫টির মধ্যে ২৩টি পদ পায় ছাত্রলীগ। অধিকাংশ হলেই পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম এ সংগঠনটির প্রার্থীরা।

স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালে। তবে ভোট গণনার ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় পরবর্তী ছয় বছরে আর নির্বাচন হয়নি। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে ৭৯, ৮০ ও ৮২ সালে তিনটি নির্বাচন হয়। ৭৯ ও ৮০ সালের নির্বাচনে পরপর

দুইবার ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হন জাসদ ছাত্রলীগের মাহমুদুর রহমান মান্না ও আখতারুজ্জামান পরিষদ। ৮২ সালের নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন আখতারুজ্জামান ও জিএস নির্বাচিত হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এ তিন বছরেই জিয়া বা বিএনপি সমর্থিতরা বড় পদে জিততে পারেনি। এরপর প্রায় টানা সাতবছর বন্ধ থাকার পর ডাকসু

নির্বাচন হয় ৮৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের জোটের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তখন ক্ষমতাসীন এরশাদ সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন থেকে বড় পদে কেউ বিজয়ী হতে পারেনি। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হন আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন।

এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ বিজয়কে অভূতপূর্ব হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচেতন। তরুণদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং দেশের অন্যান্য

উন্নয়নে তার গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। নির্বাচন ভালো হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডাকসু থেকে জাতীয় রাজনীতির আগামী নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এখন ডাকসুর নেতাদের উচিত হবে  মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গি নির্মূলসহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সচেতন থাকা।

আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাও তাদের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় বড় বিজয়ের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করছেন। জানতে চাইলে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কাজ করার জন্য অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন,‘ডাকসুতে ছাত্রলীগ বিশাল বিজয় পেয়েছে।’ বিজয়ী সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। তার নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা, উন্নয়ন পদক্ষেপ সবকিছুর প্রতি আনুগত্য এবং আস্থার উদাহারণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনাকে সমর্থন করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের প্রার্থীদের বিপুলভাবে বিজয়ী করেছে।’ ভিপি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের হারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত নির্বাচনে একটি পদে হারাটা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী ডাকসু নির্বাচনে কাজ করেছে, তাদের মধ্যে এই পদকে ঘিরে সম্মিলিত ঐক্য ও প্রচেষ্টার অভাব ছিল বলে আমি মনে করি।’

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে আরেক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডাকসুতে ছাত্রলীগের বিজয় অভিনব বিজয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ডাকসুতে ছাত্রলীগের এতোবড় বিজয় এই প্রথম।’

বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অবিচল আস্থার বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রলীগকে সমর্থন দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা জাতির জনকের কন্যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তার পাশে আছেন,এই বার্তাই দিয়েছেন।’

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST