খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ক্লাবে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসানোর বিষয়ে অভিযোগ তীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের দিকে। এরই মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি পুলিশ সদরদপ্তরের এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলেছে, সম্রাট এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদরদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণসহ সম্রাটের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। তদন্তের পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। তার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
একই সঙ্গে ওইদিন আরেক যুবলীগ নেতা ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নূরন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী-সন্তানের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে।
এর আগে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীম এবং কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ-ও যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ায়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো বন্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরু করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর অভিযান চালায় পুলিশও। অভিযান শুরু হয়েছেন দেশের অন্যান্য শহরেও।
এদিকে দলীয় সূত্র বলছে, অভিযানের পর থেকেই গ্রেফতার যুবলীগ নেতা সম্রাট কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। আর তা দলের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শেই। তার সঙ্গে রয়েছেন শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী।
সেখানে অবস্থান করা একাধিক নেতা বলেন, ওই কার্যালয়ে সবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সম্রাট। তবে এ বিষয়ে সম্রাটের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে