খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে (৪২) স্ত্রী-সন্তানের সামনে হাত ও চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম (পিপিএম) ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে নির্যাতনের শিকার জাহিদুল ইসলাম স্বপন নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আদালত শুনানি শেষে একজন এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনির হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলাম স্বপন সোনারগাঁ উপজেলার বড়নগর নগরসাদীপুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহর ছেলে। স্বপন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারাগাঁ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের এপিএস ছিলেন। এছাড়া তিনি সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। গত ৮ অক্টোবর রাত আড়াইটায় স্বপনের বাড়িতে হানা দেয় সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার (এসআই) সাধন বসাক। তারা স্বপনকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে অন্য একটি পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার বসত ঘরের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
তিনি বলেন, তাদের নির্দেশ অমান্য করলে স্ত্রী-সন্তানের সামনে চোখ, হাত বেঁধে ঘর থেকে বাইরে বের করে স্বপনকে। একই সময় স্বপনের স্ত্রী ও সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর স্বপনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি ঘরের ভেতর আটকে রাখে। সেখানে তাকে বেধরক মারধর করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
একপর্যায়ে স্বপন জ্ঞান হারালে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে স্বপনকে আবারও থানায় নিয়ে যায়। স্বপন আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোনারগাঁ পৌর যুবলীগের সভাপতি আসাদকে ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আপাতত দুইজন চিকিৎসকসহ সাতজনকে সাক্ষী দেখিয়ে মামলার দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ দেখে পালানোর সময় সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমি কিংবা আমাদের থানা পুলিশ কেউ যুবলীগ নেতা স্বপনকে নির্যাতন করেনি।
জেএন