1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
যুদ্ধাপরাধী আবদুস সুবহান মারা গেছেন - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধাপরাধী আবদুস সুবহান মারা গেছেন

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ ফেব্ুয়ারী, ২০২০

পাবনা ব্যুরো: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও পাবনা-৫ (সদর) আসনের সাবেক সাংসদ মাওলানা আবদুস সুবহান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাজি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আব্দুস সুবহানের বড় ছেলে আব্দুল হালিম লাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তার পিতা আব্দুস সুবহান কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শুক্রবার দুপুরে মারা যান তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি পাঁচ ছেলে, ছয় মেয়ে ও ৪৬ জন নাতী-নাতনীসহ আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। কয়েক বছর আগে মারা যান তার স্ত্রী।

আব্দুল হালিম লাল আরো জানান, ময়না তদন্তের জন্য তার পিতার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হাতে পাবার পর তার জানাযা নামামের সময় নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আবদুস সুবহান জামায়াতের নায়েবে আমির ছিলেন। তিনি পাবনা-৫ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান পাকিস্তান আমলে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য। একাত্তরে মাওলানা সুবহানের সহযোগিতায় পাকিস্তানী বাহিনী পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি বুধবার মাওলানা সুবহানকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল সুবহানের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও নুর হোসাইন। পরের বছর ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশনের তদন্ত দল।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে সুবহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আট ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে নয়টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুবহানের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল শুরু হয় মামলার শুনানি। যুক্তি তর্ক স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি মাওলানা সুবহানকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মাওলানা আব্দুস সুবহান খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।
খবর২৪ঘণ্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST