খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় বিশ্বে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর শুনা যাচ্ছে।
তবে এই যুদ্ধ জলে বা স্থলে নয়, অন্তরীক্ষে। অর্থাৎ যে সব মার্কিন উপগ্রহ মহাকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রক্ষা করে ও যার সাহায্যে সেনাদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়, সেগুলি আটকানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ করবে মস্কো ও বেইজিং। মহাকাশে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্যই এই ‘ধ্বংসাত্মক’ অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের তরফে এ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এফবিআই ও সিআইএ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
রিপোর্টে বলা হয়, এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্রগুলিতে থাকছে ব্যালেস্টিক মিসাইল। স্পেস বেসড সিস্টেম, যাতে ধ্বংস করা যায়, সেভাবেই এটি ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাউন্টারস্পেস টেকনোলজি।
শনিবার সিরিয়ার তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সমন্বিত এই হামলা চালানো হয়।
তিনটি লক্ষ্যবস্তুর একটি হচ্ছে দামেস্কের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র প্রস্তুতকারী একটি গবেষণাগার। অন্যটি হলো হোমসে রাসায়নিক অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ও রাসায়নিক অস্ত্রের যন্ত্রাংশ রক্ষণ কেন্দ্র।
এদিকে সিরিয়ায় সরকারি স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছে রাশিয়া। এ ধরণের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো ধরণের পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছে দেশটি। রাশিয়া বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপমান কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেন, তার দেশকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এর পরিণতি ভয়ংকর হবে। এ ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকা হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দামেস্কের কাছে ডৌমায় রাসায়নিক হামলা হয়। এতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় অন্তত ৪০ জন মারা যায়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ