নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার বিকেল পৌণে ৫টা। রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গণকপাড়া এলাকায়। এদিন সাপ্তাহিক সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের মতো ব্যস্ততম এই এলাকায় পথচারীদের তেমন কোলাহল ছিলনা। যানবাহন ও মানুষের ভিড় নেই চোখে পড়ার মতো। সপ্তাহের এই ছুটির দিনটিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকে। ব্যতিক্রম হয়নি এই এলাকার দোকানপাটের বেলায়ও। মার্কেট বন্ধ থাকায় ফুটপাতের উপর শীতের গরম পোশাক বিক্রি করছিলেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। যদিও তারা
সেখানকার স্থায়ী দোকানদার নন। ওইদিন জায়গা ফাঁকা পাওয়ায় তারা শীতের গরম পোশাক বিক্রি করছিলেন। বিভিন্ন ফুটপাত ব্যবসায়ী ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছিলেন, যা লিবেন তাই ১০ টাকা। দেখে শুনে ব্যাছা ব্যাছা লন, যা লিবেন তাই ১০ টাকা। ফুটপাতের এসব দোকানিদের আরো বলতে শোনা যায়, মার্কেটের কাপড় ফুটপাতে ১০ টাকায় এসেছে। শীত শেষ তাই এত কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এত কম দামে শীতের গরম কাপড় পাওয়ায় ক্রেতাদেরও কাড়াকাড়ি কাপড় কিনতে দেখা যায়। কোন কোন ফুটপাতের দোকানি আবার ২০ টাকায় গরম কাপড় বিক্রি করছিলেন।
১০ থেকে ২০ টাকায় এদিন ফুটপাতে যা পাওয়া যাচ্ছিলো সেগুলো হলো, শুয়েটার, মোটা জামা, মেয়েদের লং শুয়েটার, জামা, পাতলা শুয়েটার, মোটা গেঞ্জি, ফুল পাতলা গেঞ্জি, বাচ্চা ও বড় মানুষের মুজাসহ বিভিন্ন ধরণের গরম কাপড়। নামে মাত্র দাও হওয়ায় পথচারীরা একটির জায়গায় বেশ কয়েকটি করে গরম কাপড় কেনেন। কাউকে কাউকে ৪/৫ জোড়া মুজা কিনতে দেখা যায়। পাশেই ১৫০ টাকায় ছেলেদের জ্যাকেট বিক্রি করতে দেখা যায়। সেই ফুটপাতের দোকানি আবার একদাম ১৫০ টাকায় জ্যাকেট বিক্রি করছেন। তার কথায়, ১৫০ টাকায় বিক্রি করা জ্যাকেটগুলো মার্কেটে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। শীত শেষ হয়ে আসার কারণে কম দামে তিনি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিন বিকেলে গণকপাড়া ও জিরোপয়েন্ট এলাকা মিলে ৮ থেকে ১০ টি ফুটপাতের দোকানে কম দামে গরম কাপড় বিক্রি করা হয়। এছাড়াও পাশে স্যান্ডেল পট্টিতে মেয়েদের চটি ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কেনা এক নারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ১০ টাকায় এখন তেমন কিছু পাওয়া যায়না। পোশাকতো অনেক দূরের কথা। শীত শেষ হলেও সমস্যা নেই। আগামী শীতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। ফুটপাতেও কিছু ভালো কাপড় থাকে। অন্যদের দেখাদেখি আমিও কিনছি।
আরেক ক্রেতা কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া বলেন, বেছে বেছে দুটি পাতলা শুয়েটার কিনেছি। কম দামেতো পাওয়া যায়না। শীত যখন বেশি হয় তখন এসব জিনিসের
দামও ৫০ থেকে ১০০ টাকা ধরা হয় তাই কম দামে কিনেছি। শুধু ওই নারী ক্রেতারই নয়। অন্যদেরও কিনতে দেখা যায় হুড়োহুড়ি করে। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখন শীত কমে গেছে। গরম পড়তে শুরু করলে আগামী বছর পর্যন্ত এসব কাপড় বিক্রি হবে না। তাই কম দামেই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। শীতের সময় বেশি দাম হলেও এখন কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এস/আর