সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বষর্ণে পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ফের বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, জেলার কাজিপুর উপজেলা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টি মিটার উপরে রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার সদর, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার আভ্যন্তরীণ নদ নদী ও শাখাগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলও প্লাবিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফা পানি বাড়ার পাশাপাশি স্থায়ী বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে নদী তীরের অসহায় মানুষজন। অনেকেই আশেপাশের বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের বাঁধ, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, সেতু, কালভার্ডসহ প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে কেউ অবস্থান করেনি।
সিরাজগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) একে এম রফিকুল ইসলাম বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে আজ সকালে জানান, যমুনায় আগামী ৭২ ঘণ্টা পানি বাড়তে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং চার লাখ নগদ অর্থ এ মুহূর্তে রয়েছে। জেলার বন্যা কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তা পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই