খবর২৪ঘণ্টা, বিনোদন: ভাইজানের বিপদের অশনি সংকেত পাচ্ছেন হরিয়ানা পুলিশ। কারন এখনও খোলা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে, গ্যাংস্টার সম্পত নেহেরার তিন সাগরেত রাজু, অক্ষয় ও অঙ্কিত। যাদের গুলির নিশায়ায় রয়েছেন সুপারস্টার সলমন খান। আর তাই ভাইজানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিল মুম্বই পুলিশ।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বলিউডের ভাইজান সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার বিষ্ণু। এই অপরাধে বিষ্ণুর-এর দলের সদস্য সম্পত নেহেরাকে গ্রফতার করল হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। হরিয়ানা পুলিশ বলেন, “সম্পত সুপারি কিলিং করে। নেহেরার স্পেশ্যালিটি গুলি চালানোর ক্ষেত্রে তাঁর অব্যর্থ নিশানা। তাই অভিনেতাকে খুন করার দায়িত্ব পড়েছিল সম্পতের ওপর।” তবে আপাতত গরাদের ওপারে নেহারা। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর সম্পতের প্রেমিকার ফোনে আড়ি পেতে, তঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন হরিয়ানার পুলিশ।
তবে নেহারার গ্রেফতারের পরেও মিলছে না পুলিশের শান্তি। কারন বিষ্ণুর গ্যাংয়ের আরও তিনজন স্যুটার রাজু, অক্ষয় ও অঙ্কিত রয়েছে জেলের এপারে। হরিয়ানা পুলিশের অনুমান, “এই তিন জন সলমনকে প্রাণে মারার ছক কষতে পারে।” আর তাই মুম্বই পুলিশকে তাঁরা সতর্ক থাকতে বলেছেন। একই সঙ্গে হরিয়ারান পুলিশ জানান, ” এই সোমবার সম্পতকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে, তাঁকে ছাড়ানোর প্ল্যান করেছিল এই তিনজন। কিন্তু আমরা সঠিক সময় আমাদের সব প্ল্যান চেঞ্জ করে ফেলি।”
এদিকে মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে জানান হয়েছেন , ” সলমন খানের সঙ্গে সমসময় তাঁর নিজস্ব বডিগার্ড থাকে। তবে তাঁদের তরফ থেকে নায়কে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। ইতিমধ্যে সলমনের বাড়ি এবং শ্যুটিং স্পটে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করা হয়েছে।”
গ্যাংস্টার বিষ্ণুর নাম করে সলমনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন সম্পত নেহারা। কিন্তু এই মুহূর্তে বিষ্ণু যোধপুর জেলে বন্দি রয়েছে। আর তার অবর্তমানে রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়ে অপরাধমূলক এই গ্যাংস্টার চালাচ্ছিল সম্পত নেহেরা। তাই কালপিট যে সম্পত তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের। তবে শুধু সলমন নয়! পুলিশি সূত্রের খবর। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলে (INDL) -এর এক নেতাকে মারার জন্য চণ্ডীগড়ের এক ব্যবসায়ীর থেকে ৩ কোটি টাকা চেয়েছিল সম্পত। আর এই সম্পতের হয়েই বর্তমানে কাজ করছে রাজু, অক্ষয় ও অঙ্কিত।
কিছুদিন আগে সলমনকে মারলে করলে মিলবে ২ লক্ষ টাকা! এমনই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়ার নয়া সংস্থা হিন্দু হাই এজ-এর আগ্রার ইউনিট চিফ গোবিন্দ পরাশর। কারণ সলমনের নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসের ‘লাভরাত্রি’ ছবি। এই ছবির নামকরণ ‘লাভরাত্রি’ হওয়ায় তা নবরাত্রিকে, অর্থাৎ হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই গোবিন্দ পরাশর এবং সংস্থার অন্যান্যরা কিছুদিন আগে, ভগবান টকিজের সামনে হাজির হয়ে সলমনের ছবির পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সলমন এবং তার লাভরাত্রি ছবির বিরুদ্ধে স্লোগানও তোলে।
খবর২৪ঘণ্টা,কম/জন