খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খেললেন ৩৫৬ বলে ১৭৬ রানের আদর্শ টেস্ট ইনিংস, দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ঠিক বিপরীত। দলের চাহিদা ছিল দ্রুত রান তোলা, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংস ওপেন করতে নেমে তা পূরণ করলেন শতভাগ, খেললেন ৫৭ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এ তো গেলো ব্যাট হাতে দুই ইনিংসের কথা। বল হাতেও কম যাননি তিনি। পরিসংখ্যান বলবে দুই ইনিংসে শিকার মোটে ৩টি উইকেট। কিন্তু গভীরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে, দুই ইনিংসেই তিনি ভেঙেছেন বড় জুটি, আউট করেছেন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডদের।
সবমিলিয়ে ম্যাচে ২৫৪ রান ও ৩ উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরানোর বড় কৃতিত্ব পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকসেরই। স্বাভাবিকভাবেই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। তবে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়ার পথে থামতে হয়েছে স্টোকসকে। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের ১৫তম ওভারের চার বল করে আর বোলিং করতে পারেননি তিনি।
তাহলে পাঁচদিন ধরে চলে আসা ধকলের কারণেই ইনজুরি চেপে বসল স্টোকসের শরীরে? এমন ভয় পাচ্ছিলেন সবাই। তবে ম্যাচ শেষে তিনি নিজেই জানালেন, শরীরে কোন অসুস্থতা নেই, তিনি ফিট আছেন শতভাগ। বরং নিজেকে প্রস্তুত করছেন তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও দলের জন্য শতভাগ বিলিয়ে দেয়ার।
স্টোকস বলেন, ‘(ইনজুরি?) আমি ঠিক আছি। শরীরের পেশীগুলো শক্ত হয়ে আসছে। আমি (স্টুয়ার্ট) ব্রডকে বলছিলাম যে, পেশীতে সমস্যা হচ্ছে, কী করবো? তখন সে বললো আর বোলিং করো না।’ ব্রডের কথা শুনেই ১৫তম ওভারটি পুরো করেননি স্টোকস, সে ওভারের বাকি দুই বল করেন জো রুট।
তবে সেই ওভারটি শেষ না করলেও, টানা ১১ ওভারের স্পেল ঠিকই করেছিলেন স্টোকস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দলের জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি, আমাকে যা বলা হবে তার পুরোটা করবো। আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্টে প্রয়োজনের সময় আক্রমণাত্মক হওয়ার একটি উপায় আমরা বের করে নিয়েছি। যাতে করে ব্যাটসম্যানরা কোন পথ খুঁজে না পায়।’
‘আমি সবসময় তাই করব, যা আমাকে দল থেকে করতে বলা হয়। প্রথম ইনিংসে বিষয়টা ছিল যত বেশি খেলা যায়। নিজের পছন্দের জায়গা থেকে বেরিয়ে খেলাটা যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। দুইটি ইনিংস পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। দ্বিতীয়টিতে আমাদের দ্রুত রান তুলতে হতো। সেখানে ১১ ওভারে ৯০ রান করতে পারায় অনেক এগিয়ে গেছি। এই ম্যাচ থেকে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে তা ঠিক হতো না।’
খবর২৪ঘন্টা/নই