মোহনপুর প্রতিনিধিঃ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় মোহনপুর উপজেলা ৬ নং জাহানাবাদ ইউনিয়ন হত দরিদ্রদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে ১০ টাকা কেজি মূল্যে ফেয়ার প্রাইজ চাল বিক্রির জন্য তালিকা তৈরীতে চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তালিকায় হত-দরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে এলাকার ধর্নাঢ্য ও প্রভাবশালী এবং একই ব্যক্তির নাম তালিকায় দু”বার অর্ন্তভূক্ত করা অভিযোগে মার্চ/১৮ মাসে নির্ধারিত সময়ে ৫ শত ৮৫ জনের মধ্যে ২৬ জনের মধ্যে চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে নোনাভিটা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে জাহিরুল ইসলাম ,মৃত ললিত আলী ছেলে সামজেদ আলী, উজ্জ্বল হোসেন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান এর স্বাক্ষরিত প্যাডে স্বারক নম্বর নং-মোহন/জাহা/৩৯/১৭ ইং ১৭ আগষ্ট ১৭ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাছে ১১ শত ৮৩ জন ফেয়ার প্রাইজ উপকারভোগীদের তালিকা ( অপরিবর্তিত) আছে বলে দাখিল করেন। ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাকিম,এমপি প্রতিনিধি মতামত ছাড়াই তালিকা প্রস্তুত ও যাচাই বাচাই করতে ইউপি চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছামতো মনগড়া ভাবে একই ব্যক্তিকে দু”বার তালিকায় নাম রেখেছেন। গত বছরে তালিকায় কার্ডধারি নাম থাকলেও শুধুমাত্র চেয়ারম্যান অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ওই ওর্য়াডে ২৬ জন হত-দরিদ্র উপকারভোগী চাল উত্তোলন করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
জানা গেছে,উপজেলা পর্যায়ে ৬ ইউনিয়নে জন্য ২ জন করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণের জন্য ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।
কুঠিবাড়ী বাজারে ডিলার শাহিনুর রহমান জানান, প্রতি সোবমার, মঙ্গলবার, বুধবার মার্চ মাসের প্রথম পর্যায়ে চাল বিতরণ শুরু করেন ৫ শত ৮৭ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণের এক পর্যায়ে তিনি লক্ষ্য করেন যে, একই ব্যক্তি আবারো চাল উত্তোলন তার খাদ্য শস্য বিতরণ কেন্দ্রের দোকানে আসেন। তিনি তখন বুঝতে পারেন যে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী তালিকা চেয়ারম্যান ২৬ জনের দু”বার” নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন সে কারণে ২৬ জনকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সুবিধাভোগী দু”বার নাম হচ্ছে- সাইদুর রহমান কার্ড- ৫৬৮, ৫৯৪,সাবানা বেগম -৫৬৯, ৫৯৫, কাজল রেখা- ৫৭০, ৫৯৬, আনেচ- ৫৭১,৫৯৭,শামিম- ৫৭২,৫৯৮,রফিকুল ইসলাম ৫৭৩, ৫৯৯, সামাদ ৫৭৪,৬০০,হাবিবুর ৫৭৫, ৬০১,আনসার-৭৭৬,৬০২, মুর সারিল-৫৭৭,৬০২৩, জলিল-৫৭৫,৬০৪, ইসরাফিল-৫৭৯,৬০৫, মেহেদী-৫৮০,৬০৬, আয়নাল হক-৫৮১,৬০৭,শরিফ-৫৮২,৬০৮, বিবিজান- ৫৮৩, ৬০৯,রেজিয়া বেগম -৫৮৪, ৬১০,রুবিয়া -৫৮৫, ৬১১, জাহাঙ্গীর আলম -৫৮৬, ৬১২,শহিদুল-৫৮৭, ৬১৩,কালাম হোসেন-৫৮৮,৬১৪, রাহেম-৫৮৯,৬১৫, মিনা বেগম ৫৯০, ৬১৬,ইউসুফ আলী-৫৯১, ৬১৭,রবিউল ইসলাম-৫৯২, ৬১৮,তাজউদ্দিন-৫৯৩, ৬১৯।
ই্উপি সদস্য আব্দুল হাকিম জানান, চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান নিজেই ১০ টাকা কেজি দরে চালের তালিকা প্রস্তুত করতে আমার মতামত গ্রহন করেনি এবং তালিকায় আমার স্বাক্ষর পর্যন্ত না নেওয়ার অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন সরকারে ভাল সিদ্ধান্ত কাজগুলোকে কিছু অসৎ মানুষের জন্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তালিকা নাম দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমকে অবগত করা হলে তিনি কোন তালিকা জমা দেয়নি এবং তালিকায় স্বাক্ষরের দিনও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।যাদের তালিকায় দু”বার নাম রয়েছে তাদের নাম সংশোধন করা হবে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার-উল-হালিমের এর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় যাদের দ্বৈত নাম রয়েছে নামগুলো পরির্বতন ও সংশোধন জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ