মোহনপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অতিদরিদ্র জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির (ইজিপিপি ) কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসুচি হচ্ছে“অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থার কর্মসুচি”(SNSP)। রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ইউনিয়নে অতি-দরিদ্র কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের কর্মসুচি প্রকল্পের আওতায় মহব্বতপুর কল্যানী পুকুর হতে খুদির গভীর নলকূপ পর্যন্ত বিলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার মাটির নতুন রাস্তা নির্মান করছেন কর্মসুচির উপকারভোগীরা।
বিলের মধ্যে দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরী ফলে মহব্বতপুর গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ ও কৃষকেরা তাদের উৎপাদন করা কাঁচা পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারছেন। মহব্বতপুর গ্রামের ইলিয়াস আলী ,সাইফুল ইসলাম, মুন্তাজ মন্ডল, মুজিবর রহমান কৃষক মহতবতপুর বিলে প্রায় ৫শত বিঘা জমিতে ধান চাষসহ রবি মৌসুমে রবি শষ্য আবাদ করে থাকেন এলাকার কৃষকগণ জমির ধান, রবি শষ্য ঘরে তুলতে বেশী শ্রমিক লাগত কিন্তু বিলের মধ্যে নতুন রাস্তা হওয়ার কারণে অল্প সময়ে ভ্যানগাড়ী, ভূটভূটিতে কম খরচে আমরা ফসল তাড়াতাড়ি ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান। এছাড়া আমাদেরকে অন্য পথ দিয়ে হাটে যেত হত এবং প্রায় ১ ঘন্টা সময় লেগে যেত। এই নতুন রাস্তা নির্মানের ফলে আমরা অতি দ্রুত হাট-বাজারে কাঁচা পণ্য পৌঁছাতে পারছি। নতুন রাস্তার পরির্দশন করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, নছি উদ্দিন, প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, শফিকুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর আলম ।
এ বছর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে এ কাজে ৯ শত ৯৩ জন এর মধ্যে ৩৪৯ জন নারী অংশ নিচ্ছে ৬ শত ৪৪ জন পুরুষ নিচ্ছেন। হত-দরিদ্র ফাতেমা বেগম,সফুরা বেগম, আকলেমা বেগম জানান এ কাজ পেয়ে তারা সংসারের অভাব মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। ফলে তাদের সংসারে অভাব দূর হয়েছে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষে ব্যাংকে সঞ্চয়ের জমাকৃত টাকা উত্তোলন টাকা দিয়ে ছাগল,ভেড়া ও হাঁস-মুরগী কিনবেন বলে তারা জানান। তারা এ কাজ পেয়ে অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়েছেন। মোহনপুর উপজেলা ৬ টি ইউনিয়নে অতি-দরিদ্র জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির (ইজিপিপি ) মাধ্যমে প্রকল্পের ২৩ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কাঁচা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প। ৬ টি ই্উনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে প্রতিদিন এ কাজের অগ্রগতি তদারকি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার-উল-হালিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। ফলে উপজেলা জুড়ে উন্নয়ন কর্ম যজ্ঞ চলছে। আর এ তিন কর্মকর্তা জানান, এবার কঠোর তদারকি করার ফলে শতভাগ কাজ সুষ্ঠ্যভাবে সস্পন্ন হচ্ছে। কোথাও কাজের মান নিন্মমানের হলে তা পুনঃরায় সে কাজ আদায় করে নেয়া হচ্ছে। এর পরেও কোথাও কোন অনিয়ম-দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা জানান।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ