খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এর বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করলো ভাষা ও চেতনা সমিতি। এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ভাষা ও চেতনা সমিতির আহ্বায়ক ইমানুল হক ও বিশিষ্ট আইনজীবী, কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যসহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ।
সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন বাবু বলেন, আজকে যে কাজটা ওরা করলেন তার প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে নতুন করে জন্ম দিলেন। ওরা ভুলে গেলেন যে, কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতবর্ষের সংযুক্তিকরণ যখন হয় তখন একটি চুক্তির ভিত্তিতে হয়। কাশ্মীর একটা স্বাধীন দেশ ছিল। ভারতের সঙ্গে তাদের সংযুক্তিকরণ করেন এই শর্তে যে তাদের কিছু কিছু বিশেষ সুবিধা রাখতে হবে। আজকে ধরুন সিকিম যে ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তখনও চুক্তি
হয়েছে সিকিমকে কিছু বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। সেই চুক্তি যদি ভঙ্গ করা হয় তাহলে কি ভারতবর্ষের প্রতি সেই সব ছোট ছোট রাজ্য যারা একসময় যুক্ত হয়েছিল তারা আস্থা রাখতে পারবে? তারা বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্ম দেবে। এখন যদি কাশ্মীরি জনগণ বলেন ৩৭০ ধারা নেই তাহলে আমরা আর ভারতবর্ষের সঙ্গে থাকতে রাজি নই কেন? ভারতবর্ষের সঙ্গে আমাদের
সংযুক্তির মূল ভিত্তি চলে গেছে। তাই তারা উৎসাহিত হবে। বিদেশী শত্রুরা তাদের উৎসাহিত করবে। প্রকৃতপক্ষে মোদি-অমিত শাহ ভারতবর্ষকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনাটা সেরে ফেললেন। এটা আসলে প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আর এস এস এগোচ্ছে তাদের হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এক ভয়াবহ বিপদজনক জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি।
কাশ্মীর ইস্যুতে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে ভাষা ও চেতনা সমিতি বিক্ষোভ করার পাশাপাশি বিকেল চারটায় লেনিন মুক্তির পাদদেশ থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করে বামফ্রন্ট। যদিও উল্টোদিকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ায় বিজেপি রাজ্য দফতরে বাজি ফাটিয়ে আবির খেলে উৎসব পালন করতে দেখা যায় তাদের সমর্থকদের ।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন