মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রায় শতাধিক অনুসারী ও বহিরাগতদের বসুরহাট পৌরসভা ভবনের ভেতর থেকে বের করে দেন প্রশাসন। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাদেরকে বের করে দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে এর আগে পৌরভবনে অভিযান পরিচালনা করেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কাদের মির্জার মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে মির্জা কাদেরের শতাধিক অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থান করে আসছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পৌরভবনে বহিরাগতদের ভিড় বাড়তে থাকে।
তারপর এক পর্যায়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারী ও বহিরাগতদের পৌরভবন ছাড়তে ৫ মিনিটের সময় বেধে দিয়ে মাইকিং করেন। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা পৌরসভা ভবন ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
এ অভিযানে অংশ নেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. ফারুক, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক।
এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনাকালীন সময়ে প্রায় শতাধিক বহিরাগত ব্যক্তি এক সাথে পৌরভবনে অবস্থান করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।
জেএন