খবর২৪ ঘণ্টা, স্পোর্টস, ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার তারকারা যুগের পর যুগ ধরে বিশ্ব ফুটবলকে রাজত্ব করছেন। আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ব্রাজিলের রোনালদিনহো, উরুগুয়ের ডিয়েগো ফরলানের মতো ফুটবলারদের পায়ের জাদু দেখেছে ফুটবল প্রেমীরা। অসাধারণ শৈলী, সংস্কৃতি এবং আবেগের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে লাতিন ফুটবলারদের। বিশ্বকাপের গত ২০ আসরের ৯টি জিতে নিয়েছে এই অঞ্চলের তিন দেশ। ব্রাজিল ৫ বার আর আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে দুইবার করে বিশ্ব সেরার খেতাব জিতে নিয়েছে।
২০১৪ বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডুবোনোর পর এবারের রাশিয়ার বিশ্ব আসরে স্বপ্নের সেই সোনালী কাপটি জয়ের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লিওনেল মেসি।
মঙ্গলবার রাতে আর্ন্তজাতিক প্রীতি ম্যাচে হাইতির বিপক্ষে নেমেছিল আর্জেন্টিনা দল। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৪-০ গোলে বড় জয় এনে দিলেন ৩০ বছর বয়সী তারকা।
বুয়েন্স আয়ার্সের এই ম্যাচের প্রথার্ধের ১৭ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে লিড পায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে গোলটি করেন অধিনায়ক নিজেই। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করেন। করেন নিজের ১২৪তম ম্যাচে খেলতে নেম ক্যারিয়ারের ৬৪তম গোল করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা।
এতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওকে ছাড়ালেন বার্সা তারকা। ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী এই স্ট্রাইকার নিজের ক্যারিয়ারের ৯৮টি ম্যাচে মোট ৬২টি গোল করেছিলেন।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) অঞ্চল থেকে ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন পেলে। ব্রাজিলের হয়ে তিন বার বিশ্বকাপ জয়ী এই মহাতারকা ৯১ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন।
লাতিন ফুটবলার হিসেবে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আরেক সাম্বা তারকা রোমেরো। ১৯৯৪ সালের সেলেকাওদের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ক্যারিয়ারের ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল করেন।
৫৪ গোল করে পঞ্চম স্থানে আছেন গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। বাতিগোল খ্যাত এই আর্জেন্টাইন ক্যারিয়ারে ৭৭ ম্যাচ খেলেছেন।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন ব্রাজিল বর্তমান দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। ৮৩ ম্যাচে ৫৩ গোল করেছেন ২৬ বছর বয়সী এই তারকা।
উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ক্যারিয়ারের ৯৭ ম্যাচে ৫০টি গোল করেছেন। লাতিন অঞ্চল থেকে গোল করার দৌড়ে সপ্তম স্থানে আছেন বার্সার এই স্ট্রাইকার।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ