ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর কেটে গেছে তিন বছরেরও বেশি সময়। তবে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলা কর ফাঁকির মামলা থেকে মুক্তি পেলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ইতালির সুপ্রিম কোর্ট ম্যারাডোনাকে কর-ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
কর ফাঁকির অভিযোগ করা মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত জানান, ম্যারাডোনা নির্দোষ ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে নেপলসে থাকাকালে কখনোই কর ফাঁকি দেননি তিনি। রায়ের পর তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এটা শেষ হলো। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনোই কর ফাঁকি দেননি।
সর্বকালের সেরা ফুটবলার খ্যাত ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি লিখটেনস্টাইনের প্রক্সি কোম্পানি ব্যবহার করে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তখনকার ক্লাব নাপোলি থেকে পাওয়া ইমেজ স্বত্বের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। ৩০ বছর ইতালিয়ান রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মামলা চলার পর নির্দোষ প্রমাণ হলেন ম্যারাডোনা।
১৯৯৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা চলতে থাকে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন ম্যারাডোনা। তার হাত ধরে পুরোপুরি বদলে যায় ক্লাবটি। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে নাপোলিকে লিগ শিরোপা এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উয়েফা কাপ জেতান এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
ম্যারাডোনার এ অবদান এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন নেপলসের আধিবাসীরা। ভালোবেসে অনেকে তাকে নেপলসের রাজাথ বলেও ডাকেন।
বিএ…