ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মৃত্যুদণ্ডের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে আজহারকে

khobor
মার্চ ১৭, ২০২০ ২:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার মধ্যরাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের সাজা কার্যকরের পরোয়ানা (মৃত্যুদণ্ডের আদেশের) কপি কারাগারে পৌঁছায়। পরে মঙ্গলবার সকালে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পড়ে শোনান। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলাম রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিভিউ পিটিশন জমা দিতে পারবেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজহারুল ইসলামের আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকে।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দায়ের করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। দীর্ঘদিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত বছরের ১০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মামলাটি যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন (সিএভি)। এরপর ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল আজহারুলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।

জামায়াত নেতা আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগ আনে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। আর ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয় তাকে। আর ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।